- ৬২ টি মন্তব্য
আরজু মুন জারিন১২ জুন ২০১৪, ১৯:৫২
প্রিয় শৈশব ,
তুমি যেমন একটু একটু করে অনেক পিছনে চলে গিয়েছ তেমনি তোমায় ঘিরে থাকা অনেক মানুষও আজ জীবনের খাতা থেকে হারিয়ে গিয়েছে । নানার সেই কোমল ডাক আর শুনি না, না বলা সত্ত্বেও মনের কথা বুঝে ফেলার অধিকারিণী নানু ছেড়ে চলে গিয়েছে , দুধে আলতা গায়ের ছোট্ট গড়নের দাদু হারিয়ে গিয়েছে সেই কবে , প্রথম খেলার সাথীরা কে কোথায় তাও জানি না । গলাগলি করে বেড়ে ওঠা ভাই বোনেরাও এখন কত দূরে দূরে ।
একরাশ হাহাকার আর সুখের স্মৃতি নিয়ে বুকের মাঝে আছ খুব যতনে । থাকবে আমৃত্যু ।
এই আমি
অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানাচ্ছি অসাধারণ লেখাটির জন্য। মন্তব্য আর ও পরে। ভালো থাকুন বোন জেসমিন।মাঈনউদ্দিন মইনুল১২ জুন ২০১৪, ১৯:৫৩
//জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়েই আছে সেই সবুজ শ্যামল গ্রাম।//
গ্রামের জীবনই পরিপূর্ণ জীবন। মানুষ সারাজীবন তার গ্রাম্য জীবনের স্মৃতি নিয়ে বেড়ায়... এটিই তার সুখস্মৃতি।
এটিই তার বেড়ে ওঠার প্রেরণা...
গ্রামের জীবনচিত্রটি সকলেরই প্রায় এক।
আপনার লেখায় নিজের জীবনের অনেককিছুই খুঁজে পেলাম।
এত গুছিয়ে লেখতে পারেন, তবু লেখেন না! এটা পাঠকের প্রতি অবিচার
যাক, ভালো থাকবেন... জেসমিন আপামো: মালেক জোমাদ্দার১২ জুন ২০১৪, ২০:৪০
দুরন্ত শৈশব,
এত অল্পেয় লিখে তোমায় কি শেষ করা যায় ? আহ ! আবার যদি ফিরে পেতাম তোমায় যান্ত্রিক , নাগরিক এই জীবনের বিনিময়ে তবে এক নিমিষেই পূরণ করে ফেলতাম হাজারো সব অপূর্ণ কাজগুলো । সত্যই সে দিন গোলো কথা মনে পড়ে সবের।ধন্যবাদরব্বানী চৌধুরী১২ জুন ২০১৪, ২১:২১
" একটু বকুনি খেলে অভিমানী মন কেঁদে আকুল হওয়া ,"
পরে অনেক আদর পাওয়া যেত বা চকলেট, মুরগীর রানটা তাই ছোট্ট বেলায় এই ফন্দি এঁটেছিলেন বলে মনে হচ্ছে।রব্বানী চৌধুরী১২ জুন ২০১৪, ২১:২৪
জানালার গ্রিল ধরে দূর আকাশে চেয়ে থেকে অনেক দূরে হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে
আর এ কারণেই মন উদাস হওয়ায় বেশ লিখতেও পারেন এখন। লেখার হাত পাকাও হচ্ছে।
নিয়মিত লিখবেন, ভালো থাকবেন।শহীদুল ইসলাম প্রামানিক১২ জুন ২০১৪, ২১:৪১
লুৎফুন নাহার জেসমিনকে তো দেখাই যায় না। কোথায় থাকে?
লেখা খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদফেরদৌসা১২ জুন ২০১৪, ২১:৪৬
দিলেন তো মন আরও খারাপ করে।
গ্রামে আমার এত এত স্মৃতি যা লিখে শেষ করা যাবেনানুসরাত জাহান আজমি১২ জুন ২০১৪, ২২:০৮
শুধু তোমার চিঠিতে মন্তব্য করার জন্যই ব্লগে ঢুকলাম, তানাহলে আসতাম কাল সকালের দিকে।
যাই হোক, শৈশবের চিঠিটা তো এক কথায় অসাধারন, আসলেই, ছোটবেলার কথা মনে হলে মনে হয়, ওটা যেন অন্য কোন জীবন ছিল। কোন দুঃখ ছিলনা, কেমন যেন স্বপ্নের মত লাগে শৈশবের কথা মনে হলে। কথায় কথায় অভিমান, সেটার ডিপার্টমেন্ট তো ছিল বিরাট বড়। কিছুতে কিছু হলেই অভিমান।
মাঝে মাঝে শৈশবের কথা এতো বেশি মনে হয়, যে এই ব্যস্ত জীবনটাকে ফেলে ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই শৈশবের ছায়ায়। ঝামেলাবিহীন, কষ্ট ছাড়া, সুখের লাগাম ছেড়া হাত ছানি সবকিছুকে কাছে পেতে খুব ইচ্ছে করে।
খুব ভালো লিখসো। লাস্ট প্যারাটা মন খারাপ করে দেয়ার মত।সাদাত সবুজ১২ জুন ২০১৪, ২৩:২০
, সেজে কাল হল কতকাল
তবু যেন মনে হয় সেদিন সকাল ।
সোনালী দিন গুলো চোখের পলকে এভাবেই চলে যায় ।হামি্দ১২ জুন ২০১৪, ২৩:২২
শৈশবকে লেখা চিঠি। শৈশবটা সবারই মোটামুটি একটা মিল থাকে। ভাল লিখেছেন। ভাল লিখেন আপনি। কষ্ট করে লিখবেন মাঝে মাঝে.....এম, এ, কাশেম১২ জুন ২০১৪, ২৩:৩৬
সোনার খাচার দিন গুলি মোর
রইলো না আর রইলো না
সে যে আমার নানা রঙের দিন গুলি................।
চমৎকার শৈশব স্মৃতি,
কখনও কি যায় ভুলা?
সাবলীল বর্নণা আর প্রন্জল ভাষা ........... দারুন লেগেছে বোন।তৌফিক মাসুদ১৩ জুন ২০১৪, ০১:১০
আবার যদি ফিরে পেতাম তোমায় যান্ত্রিক , নাগরিক এই জীবনের বিনিময়ে তবে এক নিমিষেই পূরণ করে ফেলতাম হাজারো সব অপূর্ণ কাজগুলো ।
এমনই দারুন সব কথামালায় ফুটিয়ে তুলেছেন আজকের লেখাটি। অনেক দিন পরে আপনার লেখা পেলাম জেসমিন আপু।
শুভকামনা রইল যেখানেই থাকুন।নাসরিন চৌধুরী১৩ জুন ২০১৪, ২১:১৩
কালই তোমার চিঠিটি পড়েছিলাম কিন্তু মন্তব্য দিতে পারিনি।
বেশ গুছিয়ে লিখছো শৈশবের স্মৃতি। আসলে এগুলো ভুলা যায় না ।
দিন যত যায় অতীত তত মধুর হয়।
ভাল থেকো।শুভকামনা রেখে গেলাম।নাসরিন চৌধুরী১৫ জুন ২০১৪, ২১:২৩
ডুব দিয়োনা সোনা ---চালিয়ে যাও। তোমার গল্পের হাত শুধু ভাল না, বেশ ভাল।
তোমাদের লেখা পড়েই আমার ব্লগে আসা।
তাই চাই লিখতে থাক কিন্তু ঝরে পড়োনা।
শুভকামনা।আলভী১৫ জুন ২০১৪, ২১:১৯
আপু শৈশবকে যে ”মানপত্র” দিলেন তাতে আমরা বৃদ্ধরা অপমানিত হলাম।
এমন অবারিত শৈশব ক’জনের কপালে জোটে? এই বয়সেও আমি আপনার সাথে শৈশবের পথ মাড়িয়ে এলাম। অসাধারন! অনিন্দ্য সুন্দরের মূর্ত প্রতিক। ধন্যবাদ না জানিয়ে উপাই কি তাই জানিয়ে গেলাম অনেক অনেক ধন্যবাদ।আলভী১৫ জুন ২০১৪, ২১:৪২
আমি আপনার কোন পোষ্টই না পড়ে থাকতে পারিনা তবে ঢাকায় গিয়ে একটু অসুস্হ হয়ে পিজিতে ভর্তি ছিলাম যার জন্য এই দুটো পোষ্ট পড়া হইনি। বাকীটা আজকেই পড়বো বলে মনে করছি! আপনি নিয়মিত থাকবেন ব্লগ অনেক বেশী আলোকিত হবে। ধন্যবাদ আপু।অনিন্দ্য অন্তর অপু১৫ জুন ২০১৪, ২২:৪৭
একরাশ হাহাকার আর সুখের স্মৃতি নিয়ে বুকের মাঝে আছ খুব যতনে । থাকবে আমৃত্যু ।
কিছু হাহাকার হয়ত এভাবেই বয়ে বেড়াতে হয় । মুগ্ধতা আপুফৈরা দার্শনিক২১ জুন ২০১৪, ১৫:৪০
লেখাটা পড়ে আমারও অনেক কিছু মনে পড়ে গেলসত্যিই কি সুন্দর দিন ছিল
জানি আবার ফিরে পাওয়া যাবেনা সেইদিন তবুও খুউউব ইচ্ছা করে আবার সেভাবে বাঁচতে, সেভাবে খেলতে, দৌড়াতে, ছুটে বেড়াতে...
Friday, September 12, 2014
সোনালী শৈশব ( চিঠি )
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
Fine
ReplyDelete