- ৩৫ টি মন্তব্য
- সাআখান১৯ এপ্রিল ২০১২, ১৭:৪২প্রতিটি সন্তানরাই তাদের মা বাবার কাছে কখনও ছোট আবার কখনও বড়। সুন্দর লিখা ।
- কামাল উদ্দিন১৯ এপ্রিল ২০১২, ১৭:৫৬আমাদের ও ছোটা কালটা এমনি কেটেছে, ভাবতাম কবে যে বড়ো হবো । ভালো লেগেছে ছোটদের ছোট্ট কথা
- পাহাড়ী১৯ এপ্রিল ২০১২, ১৮:৩১বাচ্চাদের কখনো বকতে হয়না ... ওদের জন্য কেবল মায়া আর মায়া
তবে আপনি যা লিখেছেন তা প্রায়শই দেখা যায় ... আমরা হরহামেশাই বাবুদের বকা দেই ( আমি কিন্তু ইদানীং দেইনা ... নিজেকে বদলাচ্ছি) যা কখনই উচিত না
পিচ্চিদের নিয়েতো বেশ লিখছেন ...।তবে আর থেমে থাকা কেন??
শুভেচ্ছা - নীল নয়না১৯ এপ্রিল ২০১২, ১৮:৩৪বেচারী পিউ
কবে যে বড় হবে................
তবে আমার ধারনা বাবা মার কাছে ছেলেমেয়েরা কখনো বড় হয় না
এই ধারনাটা আমার বাবা-মা ই সৃষ্টি করেছেন
শুভেচ্ছা রইল আপু - জালাল উদ্দিন মুহম্মদ১৯ এপ্রিল ২০১২, ১৯:০৩পিউ শুয়ে শুয়ে ভাবে , ইশ কবে যে বড় হব
সব পিউরা বড় হউক, অনেক বড়। দেশমাতৃকার আদর্শ সন্তান। শুভকামনা রইলো। - নোমান সারকার১৯ এপ্রিল ২০১২, ১৯:০৮'' কবে বড় হব '' ! খুব বেশি দিন আগের কথা নয় , আমিও তো বলতাম !
অনেক শুভেচ্ছা । - নাসির আহমেদ কাবুল১৯ এপ্রিল ২০১২, ১৯:৫৬‘‘মামাবাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল, বড় হও দাদাঠাকুর
তোমাকে আমি তিন প্রহরের বিল দেখাতে নিয়ে যাবো
সেখানে পদ্মফুলের মাথায় সাপ আর ভ্রমর খেলা করে !
নাদের আলি, আমি আর কত বড় হবো ? আমার মাথা এই ঘরের ছাদ
ফুঁরে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায় তিন প্রহরের বিল দেখাবে ?’’
বেশ ভালো লাগলো। - শওকত হোসেন বাদল১৯ এপ্রিল ২০১২, ২০:৩০আরে আপু আমাগো ঘরের কথা তুমি জানলা কেমনে ?
................ তুমি যা লিখেছো এই সমস্যা তো, আমার ছুটকি মানে আস্থাকে নিয়ে হচ্ছে।
ভাল লিখেছো.............. শুভেচ্ছা। - জিনজির১৯ এপ্রিল ২০১২, ২০:৪৭নাহার আপা, গল্প কিন্তু ফাইন হইছে! হায়রে আমি! কত দিন ভেবেছি, ইশ কবে যে বড় হব? আজ বড় হয়ে পড়েছি দুনিয়ার গ্যারাকলে! আবার যদি ছোট হয়ে যাওয়া যেত কোন যাদুমন্ত্রবলে, খুব ভাল হত। বড় সময়টা একদম পঁচা!!!! ভাল লাগে না।
তার থেকেও বড় কথা আপনার গল্প পড়িয়ে আমার একটা অতি পুরাতন স্মৃতি আপনি জাগিয়ে দিয়েছেন। তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি। আমাদের স্কুলটা ছিল কম্বাইন্ড স্কুল, ছেলে মেয়ে এক সাথে। তো আমাদের ক্লাসে একটা মেয়ে ছিল নাম, িউ..................................। থাক বলব না, লইজ্জা করছে।
ভাল থাকুন, খুব ভাল থাকুন। - জিনজির২০ এপ্রিল ২০১২, ১৬:০০তখন ক্লাস থ্রিতে পড়ি। আমাদের স্কুলটা ছিল কম্বাইন্ড স্কুল, ছেলে মেয়ে এক সাথে। তো আমার ক্লাসে একটা মেয়ে ছিল, নাম, পিউ!!! ওকে আমার কাছে মনে হত ক্লাসের সব চাইতে সুন্দরি কন্যা!!! তাই সব সময় ঘেসাঘেসি করতাম ওর সাথে। ও কি বুঝতো আল্লাহ মাবুদ জানে, ও আমার সাথেও তাই করত। আমরা এক সাথে স্কুল ছুটির পর রাস্তা দিয়ে হাটতাম। মাঝে মাঝে হাত ধরে গার্জিয়ান সুলভ বকা ঝকাও দিতাম!!! বলতাম, 'উফ, পিউ, দেখো না, রিক্সা আসে, সরে দাড়াও!!!' ও কিছু বলত না। যেন ওর উপর আমার এটা অধিকার!!! কিভাবে পেয়েছিলাম জানি না।
একদিন টিভিতে বাংলা নাটকে দেখলাম, একটা ছেলে একটা মেয়েকে বলছে, 'আমি তোমাকে ভালবাসি'! শুনে আমার খুব পছন্দ হল কথাটা! ভাবলাম কালই ট্রাই করব। পরদিন সকালে স্কুলে গিয়ে পিউকে বললাম, 'পিউ, কাল রাতে বাংলা নাটকে দেখেছি, একটা ছেলে একটা মেয়েকে বলছে, আমি তোমাকে ভালবাসি। আমিও তোমাকে ভালবাসি। তুমি কি আমাকে বিয়ে করবে?' আমার কথা শুনে পিউ হঠ্যাৎ করে আবুল তাবুল সিস্টেমে কান্নাকাটি শুরু করে দিল। আমি ভয় পেয়ে গেলাম। তারপর কিছু সময় পর ওর মা যখন এল তখন পিউ, কাদতে কাদতে ওর মাকে বলছে, 'মা, ওই শয়তান ডলার না বলে, ও আমাকে নাকি বিয়ে করবে!!! আমি ওকে বিয়ে করব না! বিয়ে করব না!!' আমি পাশে বোকার মত দাড়িয়ে আছি। একটু লজ্জাও করছে। ভাবছি এত কান্নাকাটির কি আছে? মনে ভয় ভয়ও লাগছে। ওর মা যদি আবার আমাকে মারে? মজার ব্যাপার হল, ওর মা এই কথা শুনে হেেস ফেললেন। আমার গাল ধরে আদর করে বলল, 'আহারে, কি ভাগ্যবান আমি, এমন সুন্দর নাদুস নুদুস জামাই না চাইতেই পেয়ে গেলাম।'
এরপর যখনই ওর মা আমাকে দেখত, বলত, 'আহারে, আমার মেয়ে জামাইয়ের মুখ এত শুকনা কেন? আমার মেয়ে কিছু বলেছে নাকি?' বলেই হাসতে হাসতে কুটিপাটি হতেন। আর আমি লজ্জায় লাল হয়ে পালানোর পথ খুজতাম। অনেক দিন পর্যন্ত আমি পিউ এর মায়ের সামনে যেতাম না লজ্জায়।
সেই পিউ আজ দুই সন্তানের মা। বড়টি ছেলে আর ছোটটি মেয়ে। দুলাভাই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। অতি মায়াদারী একজন মানুষ। আমাকে দেখলেই বলেন, 'এই যে, মিঃ রোমান্টিক শালা, এইচ আর ইউ?' আমি বলি, 'খুব ভাল দুলা ভাই, আপনি কেমুন আছেন?'................... এভাবেই কথা চলে। আমরা আজও বন্ধু। প্রাণের বন্ধু। প্রায়ই দাওয়াত করে আমাকে বেগুন ভাজা খাওয়ায়। সাথে পোলাও চালের ভাত। ও বেগুন ভাজায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন।
ও যখন আমার লেখা গুলি পড়ে, তখন প্রায়ই আমাকে ফোন দিয়ে বলে, 'কিরে বদমাইশ, ছোট বেলা থেকেই তুই এত রোমান্টিক, গল্পে এত কান্নাকাটি কেন? প্রেম পিরিতি নিয়া কিছু লেখ। নাকি পারবি না? তুই কি জানিস, তোর মত এত ফালতু লেখক আর একটাও নাই তোগো ব্লগে?' আমি মাথা নারি, বলি, 'হ্যা, ঠিক কইছস। আমি শুধু ফালতু না, মহা ফালতু। কি খাওয়াবি বল। তোর পঁচা বেগুন ভাজি আর খাব না। অন্য কিছু খাওয়া।' ওকে আর বলি না যে, রাত দুপুরে আমার গল্প পড়ে কাঁদতে কাঁদতে কেন ফোন দিস তাহলে!!! কি দরকার? আমি তো জানি ও আমাকে খুব পছন্দ করে বলেই এভাবে বলে। ওর সাথে তাই ঝগড়ায় জিতি না। ইচ্ছে করেই হেরে যাই।
রোমান্টিক গল্পের কথায় আমি রবীন্দ্রনাথের একটা গানের কথা বলি ওকে,
''কেন মেঘ আসে, হৃদয়ও আকাশে
তোমারে দেখিতে দেয় না
মোহ মেঘে তোমারে দেখিতে দেয় না
মোহ মেঘে তোমারে, অন্ধ করে রাখে
তোমারে দেখিতে দেয় না।
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাই না।
ক্ষণিকও আলোকে, আখিরও পলকে
যবে তোমারে দেখিতে পাই
ওরে হারাই হারাই, সদা হয় ভয়
হারাইয়া ফেলি চকিতে, আশ না মিটিতে
হারাইয়া পলক না পরিতে
হৃদয় না জুরাইতে হারাইয়া ফেলি চকিতে।
ওহে কি করিলে বল পাইব তোমারে রাখিতে
আখিতে আখিতে,
ওহে এত প্রেম আমি কোথা পাব না
তোমারে হৃদয়ে রাখিতে
আমার সাধ্য কিবা তোমারে দয়া
না করিলে কে পারে হৃদয়ে রাখিতে।
মাঝে মাঝে তব দেখা পাই
চিরদিন কেন পাই না
..............................
..............................
পিউ আমার হেরে গলায় গান শুনে বলে, 'ধুর শয়তান, তোর মাথা।' আমি হাসতে হাসতে বেগুন ভাজা দিয়ে পোলাও চালের ভাত খাওয়া শুরু করি। দুলাভাই পাশ থেকে বলে, 'ইশ ডলার, তোমার গলা শুনে তো মনে হচ্ছে, গাধা তোমার নিকট আত্মীয়!!!' কথা শুনে আমরা সবাই খুব হাসতে থাকি। ছেলে মেয়ে দুটি আনন্দে আমার দিকে তাকিয়ে হাসতে হাসতে বলতে থাকে, 'হি হি হি িহি, মামা, সত্যি, গাধা তোমার আত্মীয়? বল না, প্লিজ'................................................................
আমার বন্ধু পিউ এবং তার পরিবার এখন থাকে আমেরিকায়। যেখানেই থাকুক ভাল থাকুক, খুব ভাল থাকুক। এই কামনা রইল। আপনার অনেক সময় নষ্ট করলাম। ক্ষমা করবেন। ভাল থাকুন, খুব ভাল থাকুন। ভাইটার জন্য দোয়া করবেন। - জিনজির২০ এপ্রিল ২০১২, ২১:২৩পাজি বলে পাজি! মহা পাজি!!!
তবে এখন ভাল হয়ে গেছি!!! জীবন মিয়া ধরে এমন এক মোচড় দিয়েছে ঘাড় ধরে যে, সব পাজি পানা গায়েব হয়ে গেছে।
আপনি ঠিকই বলেছেন নাহার আপা, নিজের জন্য দোয়া করা সব চাইতে বড় দোয়া। তবু সবার কাছ থেকে হাত পেতে নেই। ফাও পেলে ছাড়ে কে?
ভাল থাকবেন। - খোরশেদুল আলম২০ এপ্রিল ২০১২, ১৬:৪৬আপা আমাদের বাস্তব ঘটনাই আপনি
সুন্দর করে তুলে ধরেছেন।
ভালো লাগলো।
শুভকামনা বাবুদের জন্য।
Saturday, August 30, 2014
বিভ্রান্ত
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment