Thursday, September 4, 2014

শীতের ছুটিতে ফারিহা


ফারিহার বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হতে আর বেশি দিন নেই । তাই পড়ালেখার খুব চাপ । সে খুব মনোযোগ দিয়ে পড়ালেখা করার চেষ্টা করছে । তাদের ক্লাস এখনো শেষ হয়নি । কয়েকদিনের মধ্যেই পরীক্ষার জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে । এদিকে শীত পড়া শুরু হয়ে গিয়েছে । সকাল বেলা স্কুলে যাওয়ার সময় গরম কাপড় পড়ে বের হতে হয় । আসার সময় অবশ্য তার একটু গরম লাগে । তার সোয়েটারগুলো একটু পুরনো ও ছোট হয়ে গিয়েছে । মা কে নতুন কিনে দিতে বলায় মা বলল , পরীক্ষার পর মার্কেটে গিয়ে নতুন সোয়েটার কিনে দিবে । আপাতত এগুলো চালাতে হবে । 

ফারিহাদের আজ পরীক্ষার আগে শেষ ক্লাস । তাদের তানিয়া ম্যাডাম সবাইকে মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে বললেন । ঠিকমত খাওয়া দাওয়া করতে বললেন যাতে পরীক্ষার সময় শরীর সুস্থ থাকে । পরীক্ষা শেষে সবার কি করার পরিকল্পনা তা জানতে চাইলেন । সবাই যার যার প্ল্যানের কথা বলল । শুনে ম্যাডাম বললেন , খুব ভালো । জেনে ভালো লাগছে , তোমারা শীতের ছুটিতে বেড়াতে যাবে । পিঠা পুলি খাবে । আরও অনেক কিছু করবে । কিন্তু একটা বিষয় কি ভেবেছ ?
সবাই খুব আগ্রহ নিয়ে জিজ্ঞেস করলো , কি ম্যাডাম ? 
ম্যাডাম বললেন , তোমরা ইচ্ছে করলে এই সময় কিছুটা জনসেবা মূলক কাজ করতে পারো । এখানে তোমাদের প্রত্যেকের একের অধিক অথবা পুরনো শীতের কাপড় থাকার কথা । আবার তোমাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও থাকতে পারে । তোমরা যদি সেই কাপড়গুলো একসাথে করে গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারো তাহলে গরীবদের খুব উপকার হয় । তোমাদের আশেপাশে এমন অনেক গরীব আছে যাদের পক্ষে পুরনো গরম কাপড় কিনেও পরা সম্ভব নয় । তাদের হাতে যদি এই কাপড়গুলো তুলে দেওয়া যায় তবে তারাও যেমন শীতের হাত থেকে বাঁচতে পারবে তেমনি আল্লাহ খুব খুশি হবেন । কেননা গরীবের পাশে থাকার জন্য আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন । আর এরকম একটা ভালো কাজ করে তোমাদের মনেও খুব আনন্দ হবে আমি নিশ্চিত । 
ক্লাসের এক ছাত্রী তুলি, ম্যাডাম কে জিজ্ঞেস করলো , ম্যাডাম আমারা এই কাপড়গুলো কোথায় একসাথে করবো । আর কবেই বা করবো ? 
ম্যাডাম বলল , তোমরা যার যার বাসায় গিয়ে কাপড়গুলো সংগ্রহে রাখো । পরীক্ষা শেষে আমরা আরও কয়েকজন আগ্রহী ম্যাডামদের নিয়ে তোমাদের সবার কাপড় একসাথে করে গরীবদের মাঝে বিলি করবো । এইজন্য আমি হেড মিস্ট্রেসের সাথেও কথা বলবো । কারো বাসায় পুরনো কম্বল থাকলেও আনবে । 
তো আজ এই পর্যন্ত । সবাই ভালো ভাবে পরীক্ষা দাও । - এই বলে ম্যাডাম বিদায় নিলেন । 


ফারিহা স্কুল ছুটি হলে বাসায় আসলো । গেইট দিয়ে ঢোকার সময় মা কে দেখল , ফেরিওয়ালাকে কিছু পুরনো কাপড়ের সাথে কিছু শীতের কাপড় দিয়ে পাতিল কিনছেন । মা এটা প্রায়ই করেন । তা দেখে ফারিহা দৌড়ে এসে মা কে বলল , গরম কাপড়গুলো দিও না । 
মা ধমক দিয়ে বললেন , কি বলিস আবোলতাবোল ? পুরনো কাপড়গুলো তো পড়ে আছে । সেগুলো দিয়ে দিলেই আলমারির জায়গা হয় আবার পাতিলও কেনা যায় । তুই শীতের কাপড় দিয়ে কি করবি ? 
ফারিহা বলল , আজ আমদের তানিয়া ম্যাডাম বলেছেন পুরনো শীতের কাপড়গুলো জমা করে স্কুলে নিয়ে গেলে সেগুলো গরীবদের মাঝে বিলানো হবে । 
এই কথা শুনে মা কাপড়গুলো ফেরিওয়ালা কে দিলেন না । তাকে বিদায় দিয়ে দিলেন । 
সে ঘরে এসে মা কে সব খুলে বলল । রাতে খেতে বসে বাবার সাথেও বলল । বাবা শুনে বললেন , এতো খুব ভালো কথা । তিনি ফারিহার মা কে বললেন , বাসায় আরও কোন বাড়তি গরম কাপড় , কম্বল থাকলে প্যাকেট করে রেখে দাও । পারলে আশেপাশের ভাবীদেরও জানাও । আমি সবগুলো সময় হলে ফারিহার স্কুলে দিয়ে আসবো । গরীবদের জন্য এভাবে কিছু করতে পারলে তাদের কিছুটা উপকার হয় । 
ফারিহা তো খুশি তে লাফাতে লাগলো । 

যথাসময়ে ফারিহার পরীক্ষা শেষ হোল । শেষ পরীক্ষার দিন ম্যাডাম জানিয়ে দিল কবে সংগৃহীত কাপড়গুলো স্কুলে নিয়ে যেতে হবে । তারা সেই মোতাবেক সবাই স্কুলে গিয়ে হাজির হোল । দেখা গেলো , অল্প অল্প করে অনেক কাপড় হয়েছে । হেড মিস্ট্রেস দুই দিন পর এই কাপড়গুলো বিলি করবেন বলে জানালেন । আগ্রহী ছাত্রীদের উপস্থিত থাকতে বললেন । তারা নির্দিষ্ট দিনে খুব সকাল থেকে কাপড় বিলি করা শুরু করলো । তাদের স্কুলের আশেপাশে কয়েকটি এলাকায় ঘুরে ঘুরে এই শীতের কাপড়গুলো দেওয়া হোল । ফারিহা দেখল , গরীবরা এই পোশাকগুলো পেয়ে খুশী হোল । তারা আল্লাহর কাছে স্কুলের সবার জন্য দোয়া করলো ।

সারাদিন ঘুরে ঘুরে ফারিহা যদিও বেশ ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলো তারপরও তার খুব ভালো লেগেছিল ।রাতে সে শুয়ে শুয়ে ভাবল , তার এবারের ছুটি টা খুব ভালো একটি কাজের পিছনে ব্যায় হোল । 


( আমাদের দেশে স্কুল প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে গরীবদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে পারেন । এতে করে ছেলে মেয়েরা ছোট বেলা থেকেই সমাজসেবার প্রতি আগ্রহী হবে এবং গরীবদের নিয়ে ভাবতে শিখবে । )
৫৩ টি মন্তব্য
sularyআলভী২৯ নভেম্বর ২০১২, ২১:৩৮
আবার নতুন করে কন? আগের পোষ্টটি কি হলো?
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২১:৩৯
আগেরবার পুরোটা আসে নি । তাই ---
sularyআলভী২৯ নভেম্বর ২০১২, ২১:৩৮
আবার নতুন করে কেন? আগের পোষ্টটি কি হলো?
fardoushaফেরদৌসা২৯ নভেম্বর ২০১২, ২১:৪২
ফারিহা দেখল , গরীবরা এই পোশাকগুলো পেয়ে খুশী হোল । তারা আল্লাহর কাছে স্কুলের সবার জন্য দোয়া করলো ।


আগে বাসায় তারপর স্কুলে অবশ্যই এই বিষয় গুলি বাচ্চাদের শেখানো দরকার।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২১:৫২
অবশ্যই , বাসাতেই এই শিক্ষাটা দেওয়া সবচেয়ে জরুরী । স্কুলে যখন কোন টিচার সুন্দর করে বলেন , তখন টা তারা খুব মনোযোগ দিয়ে শুনে করার চেষ্টা করে । আর তাই তাদেরও এই শিক্ষা দিতে হবে ।
sularyআলভী২৯ নভেম্বর ২০১২, ২১:৪৮
গরীব মানুষ কাঁপছে শীতে,
গরম কাপড় হবে দিতে।
শীতের কাঁপন পান্তা ভাতে,
গরীবদের যা নিত্য সাথে!
অর্থ নেই তাদের হাতে,
উঞ্চতা পাবে কোথা হতে?
শীতে কষ্ট পাইনা যাতে,
এগিয়ে আসবো আমরা তাতে।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২১:৫০
ঠিক বলেছেন আলভী ভাই ।
shmongmarmaএস এইচ মং মারমা২৯ নভেম্বর ২০১২, ২১:৫৪
অল্প অল্প করে অনেক কাপড় হয়েছে । হেড মিস্ট্রেস দুই দিন পর এই কাপড়গুলো বিলি করবেন বলে জানালেন । আগ্রহী ছাত্রীদের উপস্থিত থাকতে বললেন । তারা নির্দিষ্ট দিনে খুব সকাল থেকে কাপড় বিলি করা শুরু করলো । তাদের স্কুলের আশেপাশে কয়েকটি এলাকায় ঘুরে ঘুরে এই শীতের কাপড়গুলো দেওয়া হোল । ফারিহা দেখল , গরীবরা এই পোশাকগুলো পেয়ে খুশী হোল । তারা আল্লাহর কাছে স্কুলের সবার জন্য দোয়া করলো ।

ভীষণ ভাল লাগল প্রিয়। শুভেচ্ছা রইলো ও ভাল থাকবেন প্রিয়।ধন্যবাদও নেবেন।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:০৭
অনেক ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য । ভালো থাকবেন ।
anindyaantarঅনিন্দ্য অন্তর অপু২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:০০
তোমরা ইচ্ছে করলে এই সময় কিছুটা জনসেবা মূলক কাজ করতে পারো । এখানে তোমাদের প্রত্যেকের একের অধিক অথবা পুরনো শীতের কাপড় থাকার কথা । আবার তোমাদের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও থাকতে পারে ।

এই বোধগুলো যেন ছড়িয়ে যায় সব শিশুর অন্তরে। ওরা আরও একটু ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। ছোট্টসোনা গুলোকে এরকম মানবিক কাজে উৎসাহিত করা উচিত।

আপনার ভাবনার সুন্দর প্রকাশ। ভালো আছেন তো আপা?
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:০৬
ধন্যবাদ অপু । ভালো আছি । আপনার মত কি আর অতো সুন্দর করে ভাবতে পারি ? আপনার লেখায় মানবিক বোধগুলি এত সুন্দর করে ফুটে উঠে । অনেক ভালো লাগে ।
anindyaantarঅনিন্দ্য অন্তর অপু২৯ নভেম্বর ২০১২, ২৩:৪২
আপনার মত কি আর অতো সুন্দর করে ভাবতে পারি ? আপনার লেখায় মানবিক বোধগুলি এত সুন্দর করে ফুটে উঠে ।

আপনার ভাবনাও আমায় মুগ্ধ করে। এত রিজার্ভ থেকেও ঠিক কিভাবে যেন এত্ত সুন্দর বোধগুলো ছড়িয়ে দিতে পারেন অন্তরে অন্তরে। রান্নাবান্না এখনও চলছে নাকি আপা?
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২৩:৫২
ধন্যবাদ । খুব চলছে । একেবারে বাংলাদেশের মত প্রতিদিন রান্না করি । ভাবছি একটা রান্না নিয়ে ব্লগে হাজির হতে হবে । অনেকদিন কেউ ব্লগে রান্না নিয়ে কিছু দেয় না ।
KohiNoorমেজদা২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:০৪
আজ টের পেয়েছি শীত কি পরিমান পরেছে। ওরে বাবারে। 
চল সবাই গ্রামে যাই
ওদের পাশে দাঁড়াই।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:১৫
দেশে খুব শীত পড়ছে বুঝি ? এখানে আজ মাত্র ২ ডিগ্রী সে ।
sularyআলভী২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:০৫
যদের নাই কাপড়ের আকাল,
তারা রচনা লিখে শীতের সকাল,
যাদের অর্থ-কড়ি নাই হাতে,
ঘুম থেকে উঠে খুব প্রভাতে!
শীতের সকাল তাদের কাছে,
কল্পনা বিলাসী গল্প মিছে!
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:১৭
এটাই হয়তো নিয়ম আল্লাহর এই দুনিয়ায় ।
sularyআলভী২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:০৭
কোহিনুর ভাই কোথায় ছিলেন?
কেন আজ দেরীতে এলেন?
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:১৮
শীতে জমে গিয়েছেন বোধ হয় ।
chomok001মোঃ হাসান জাহিদ২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:১৬
( আমাদের দেশে স্কুল প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে গরীবদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের উৎসাহ দিতে পারেন । এতে করে ছেলে মেয়েরা ছোট বেলা থেকেই সমাজসেবার প্রতি আগ্রহী হবে এবং গরীবদের নিয়ে ভাবতে শিখবে । )
সহমত । খুব সুন্দর শিশুতোষ গল্প ।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:১৮
ধন্যবাদ জাহিদ ভাই ।
sularyআলভী২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:২৪
আপু আমাদের এখানে এখন ১৫ ডিগ্রী (প্লাস)
আপনাদের ওখানে কত?
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:২৮
মাত্র ২ ডিগ্রী সে ।কিন্তু Feels like -১ ডিগ্রী সে । খুব ঠাণ্ডা ।
Maeenমাঈনউদ্দিন মইনুল২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:৩৫
আমাদের দেশের ফারিহাদের আজ প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা শেষ হলো।
জানিনা কয়জনের ম্যাডাম এমন কাজে তাদেরকে অনুপ্রাণিত করবেন।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:৪১
সেটা অবশ্য ভাবার বিষয় । কিন্তু করা তো যায় । কি বলেন ?
sularyআলভী২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:৪১
এত শীত! আরো বাড়বে?
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:৪৩
হুম , তাতো বাড়বেই । মাইনাস ২০ থেকে ২৫ পর্যন্ত ও যায় ।
Rjamilরশীদ জামীল২৯ নভেম্বর ২০১২, ২২:৫০
আজ বৃহষ্পতিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে শুভেচ্ছা
------------------
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২৩:২৯
আপনার জন্যও শুভেচ্ছা ।
BABLAমোহাম্মদ জমির হায়দার বাবলা২৯ নভেম্বর ২০১২, ২৩:১৪
আপা,
আমরা আস্তে আস্তে শিশুদের জন্য লেখা শুরু করেছি। আগে বৃহস্পতিবার আসলে কথাটি মনে থাকতো না। 
আজ অনেক লেখা পোস্ট হয়েছে। ভাল লাগছে। বুঝা যায় আমরা একেবারে স্বার্থপর হয়ে যাইনি। 
এখন দরকার শিশুতোষ পোস্টগুলো কপি করে বাচ্চাদের পড়তে দেয়া। আশা করি আমরা তা পারব। 
যেখানেই থাকুন - আপনার জন্য শুভকামনা।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২৩:৩২
আমার বৃহস্পতিবারের কথা মনে থাকে । তাই এই দিন ব্লগে আসলে শিশুদের লেখা খুঁজি । কিন্তু তেমন একটা লিখতে পারি না বলে লেখা হয়ে উঠে না । 

আমার মেয়েকে বেশ কয়েকটা শুনালাম । 
আপনার জন্য শুভকামনা ।
Rabbaniরব্বানী চৌধুরী২৯ নভেম্বর ২০১২, ২৩:১৭
" অল্প অল্প করে অনেক কাপড় হয়েছে । হেড মিস্ট্রেস দুই দিন পর এই কাপড়গুলো বিলি করবেন বলে জানালেন । আগ্রহী ছাত্রীদের উপস্থিত থাকতে বললেন । তারা নির্দিষ্ট দিনে খুব সকাল থেকে কাপড় বিলি করা শুরু করলো । " 

এই সব শিশু-সাহিত্যের কথাগুলি এক সময় ঠিকই শিশুদের মাথায় থেকে যাবে আর অনেক সময় ছোট্টরা বড়দের মতই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ওদেরকে শীতার্থ মানুষদের কথা মাথায় ঢুকিয়ে দিলে ওরা শীতার্থ মানুষদের কষ্ট লাঘবের কথা ভাববে এমনিতেই ওদের মন অনেক সরলাতায় ভরা। আর সারা ক্ষণ ওদেরকে ডরিমন দেখালে ওরা ডরিমনের কথা মাথায় রাখেবে। 

বৃহস্পতিবারের কথা মনে রেখে শিশু-সাহিত্য লেখার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ, ভালো থাকবেনে।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ নভেম্বর ২০১২, ২৩:৫৭
আপনি ঠিক বলেছেন । শিশুরা খুব সরল । তাদের মাথায় ভালো ভাবনাগুলি ঢোকাতে পারলে তারা এমনিতেই সত্যিকারের মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠবে । আর এইজন্য তাদের প্রিয় মানুষগুলোকে সচেতন হতে হবে সবার আগে । কারণ তারা তাদের সেই মানুষগুলোকেই ফলো করে । 
গত বৃহস্পতিবার বলেছিলাম , একটা লেখা দিব । তাই দিলাম । লেখাটা প্রায় শেষ করেছি মেয়ে এসে ল্যাপটপ বন্ধ করে দিয়ে লেখা দিল মুছে । আবার লিখতে হয়েছে । 
ভালো থাকবেন ।
Rabbaniরব্বানী চৌধুরী৩০ নভেম্বর ২০১২, ০০:০০
"" লেখাটা প্রায় শেষ করেছি মেয়ে এসে ল্যাপটপ বন্ধ করে দিয়ে লেখা দিল মুছে । আবার লিখতে হয়েছে । " 

অসাধারণ ধৈর্য আপনার।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন৩০ নভেম্বর ২০১২, ০০:০৪
্কথা দিয়েছিলাম তাই -----
Saminaসামিনা আলী৩০ নভেম্বর ২০১২, ০০:৪৮
ফারিহার গল্প পড়ে মনে পড়ে গেল আমরা স্কুলের বন্ধুরা মিলে বড় ভাইয়া আর আপুদের তত্ত্বাবধানে বাড়ি বাড়ি যায়ে শীতের কাপড় সংগ্রহ করতাম। যা পরবর্তীতে ভাইয়ারা উত্তরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে বিলি করে আসতো। তখন ছোট ছিলাম সাথে যেতে পারতাম না। কিন্তু শীতের সকালে যখন লেপের নীচে যেয়ে উষ্ঞতাটা উপভোগ করতাম তখন ভালো লাগতো এই ভেবে যে আমরাও কিছু মানুষকে এই উষ্ঞতা উপভোগের সুযোগ দিয়েছি। 

আপনার সাথে একমত আপি এভাবেই বাচ্চাদের উৎসাহিত করা উচিত গরীবদের সাহায্য করার জন্য।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন৩০ নভেম্বর ২০১২, ০২:২১
অনেক ধন্যবাদ তোমার ছোটবেলার একটি ভালো কাজের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করায় । 
ভালো কাজ করলে মনে একটা আলাদা আনন্দ কাজ করে । 
ভালো থেকো আপু ।
doctor2009অমি চৌধুরী৩০ নভেম্বর ২০১২, ০১:৫৪
উৎসাহমূলক, উদ্দীপ্ত লেখা , এমন লেখা চাই আরো।

এমন একজন ফারিহা থেকে নিশ্চয়ই একদিন অনেক ফারিহার জন্ম হবে। তারাই তো আমাদের ভবিষ্যৎ।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন৩০ নভেম্বর ২০১২, ০২:১৮
ঠিক বলেছেন । একজন ফারিহা থেকেই আরও অনেক বিবেকবোধ সম্পন্ন ফারিহা তৈরি হবে । 
আপনাকে আমার ব্লগে আসার জন্য ধন্যবাদ ।
tmboss172তৌফিক মাসুদ৩০ নভেম্বর ২০১২, ০৮:৩৯
আপনার লেখাটি ভাল লাগল, আপনি আমাকে মনে করিয়ে দিয়েছেন রাজশাহীতে সেই কনকনে শীতে মানুষের কষ্টের কথা। আমার মা আমাদের একটা পুরনো কাপড়ো বাসায় রাখতেননা। অনেক গরীব বুড়ো মানুষেরা শীত সইতে নাপেরে মারা যেত। 

ধন্যবাদ আপা।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন৩০ নভেম্বর ২০১২, ২৩:৩০
আমাদের বাসায় পুরনো কাপড়গুলো দেশের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । 
আপনাকে দেখে ভালো লাগলো ।
pramanik99শ‍হীদুল ইসলাম প্রামানিক০১ ডিসেম্বর ২০১২, ১০:৪৮
অনেক ভাল লাগল গল্প। ধন্যবাদ
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন০১ ডিসেম্বর ২০১২, ২১:৫৪
ভালো থাকবেন প্রামাণিক ভাই ।
sularyআলভী০১ ডিসেম্বর ২০১২, ২১:১৯
গতকাল কোথায় ছিলেন আপু?
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন০১ ডিসেম্বর ২০১২, ২১:৫৩
গতকাল গেস্ট আসায় দেরি করে ব্লগে বসেছিলাম ।
meherajsarmin1পাহাড়ী০১ ডিসেম্বর ২০১২, ২৩:৪৯
আগে মনে হয় পড়েছিলাম । তাই না আপু ?? 

ফারিহার চেতনায় উজ্জীবিত হোক সবাই । ভালবাসা রইলো
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন০২ ডিসেম্বর ২০১২, ০০:০৬
না পাহাড়ি । আগে তো দিই নি । সেদিন ই লিখে পোস্ট দিয়েছি । 
তোমার জন্যও ভালবাসা ।
sularyআলভী০২ ডিসেম্বর ২০১২, ২২:৫৫
আজকেও আপনি অনেক দেরীতে এসেছেন......।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন০২ ডিসেম্বর ২০১২, ২২:৫৯
বিকেলে একটু বাইরে গিয়েছিলাম । গত দুই তিন দিন আপনাদের সাথে সময় মিলছে না । আজ তুষারপাতের একটা ছবি পোস্ট দিয়েছি । আসছে না কেন ?
shsiddiqueeছাইফুল হুদা ছিদ্দীকি৩১ ডিসেম্বর ২০১২, ১২:৪৭
অনেক ধন্যবাদ।ভালো থাকুন।
লেখাটি।পড়ে খুব ভালো লাগলো।
শীতের কাপড় বিতরণ বিষয়ে আমার লেখা লিন্ক দিলাম আশা করি পড়ে দেখবেন।
http://www.dainikpurbokone.net/index.php?option=com_content&view=article&id=58429:2012-12-05-20-25-15&catid=9:2011-05-26-03-33-23&Itemid=5
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন৩১ ডিসেম্বর ২০১২, ১৫:৩৩
আপনাকেও ধন্যবাদ আমার পুরনো পোস্টগুলি পড়ছেন বলে । সময় করে আপনার লেখা পড়ে নিব ।
Himaloeএইচ এম মেহেদী হাসান১৬ জানুয়ারি ২০১৩, ১৪:১৮
শুভেচ্ছা আপনাকে।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৬ জানুয়ারি ২০১৩, ১৬:১৩
আপনাকেও শুভেচ্ছা । ভালো থাকবেন ।

No comments:

Post a Comment