Friday, September 12, 2014

সোনালী শৈশব ( চিঠি )




সোনালী শৈশব , 
আজ খুব পিছনে ফিরে তোমায় দেখতে ইচ্ছে করছে । বর্তমানের ভিড়ে স্মৃতির অতলে হারিয়ে যাচ্ছ কি ? অথচ তোমাকে ছাড়া এই আমি কি ভাবা যায় !! জীবনের সবচেয়ে আনন্দমুখর , চিন্তামুক্ত ক্ষণগুলো যে তোমাকে নিয়ে । পৃথিবীর আলোয় এসে জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতাগুলো যে তোমাকে ঘিরেই । ছোট্টমনের প্রথম ভাবতে শেখা , কল্পনার সুতাগুলি একটু একটু করে বুনে যাওয়া , একটু বকুনি খেলে অভিমানী মন কেঁদে আকুল হওয়া , জানালার গ্রিল ধরে দূর আকাশে চেয়ে থেকে অনেক দূরে হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে । সেখান থেকেই কি ভাবুক এই মনের তৈরি ? বাতিল জুতার বাক্সে পুতুলের ঘর সংসার বানিয়ে নিজেদের পরিবারের চরিত্র আঁকা , ভাই-বোনরা সবাই মিলে হৈ-হল্লুড় , মারামারি । 
বছর শেষে সবাই মিলে নানা বাড়ি , দাদা বাড়ি বেড়াতে যাওয়া । খুব বেশি নয় তবুও জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়েই আছে সেই সবুজ শ্যামল গ্রাম । মেঠোপথ ধরে বাসের দুলুনিতে গ্রামের যত কাছে আসা ততই মুক্ত স্বাধীন হওয়ার আনন্দে বিভোর হওয়া । শীতের সকালে গরম মোয়া , অথবা নানুর হাতের মজার মজার সব পিঠা , সেকি মধুর সব দিন । সন্ধ্যা রাতে ক্ষেতের আল ধরে বাড়ি বাড়ি বেড়াতে যাওয়া , ভূতের ভয়ে মায়ের গায়ের সাথে সেটিয়ে হাঁটা । চাঁদনী রাতে উঠোনে বসে তন্ময় হয়ে নানুর মুখে গল্প শোনা , লেপের নিচে দাদুর নরম শরীরের ওম নেওয়া , উঠোন জুড়ে জোনাকির আলোর নাচন অবাক হয়ে দেখা , মুঠোবন্দী করার অবিরাম চেষ্টা । বড়দের শাড়ি পড়ে হাড়ি পাতিল নিয়ে চড়ুই ভাতি খেলে একদিনের জন্য গিন্নী সাজার চেষ্টা । বাঁধের ওপারে যে রহস্যময়ী বন , তার হাতছানিতে কাছে যাওয়ার আকর্ষণ । ভয় পেয়ে ফেরত আসা । নানার আগলে রাখা কাঠের আলমারিতে সুযোগ পেলেই উঁকি দিয়ে বিস্কুট চুরি করার চেষ্টা । আরও কত কি ...। 

দুরন্ত শৈশব, 
এত অল্পেয় লিখে তোমায় কি শেষ করা যায় ? আহ ! আবার যদি ফিরে পেতাম তোমায় যান্ত্রিক , নাগরিক এই জীবনের বিনিময়ে তবে এক নিমিষেই পূরণ করে ফেলতাম হাজারো সব অপূর্ণ কাজগুলো । রঙিন আইসক্রিমে মুখ লাল করে মায়ের সামনে হাসি দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যেতাম । গ্রামের পুকুরে জলের মাঝে দাপাদাপি করে কুয়াশা দৃষ্টিতে সাঁতারটা শিখে নিতাম । অথবা সেই বনের হাতছানিতে ঘুরে ঘুরে দেখে নিতাম বিশাল এক রাজ্য । কারণে অকারণে বন্ধুদের সাথে আড়ি না দিয়ে ভাব জমিয়ে রাখতাম । অথবা বাবার কোলে উঠে নীরবে আদর খেয়ে যেতাম । 

প্রিয় শৈশব ,
তুমি যেমন একটু একটু করে অনেক পিছনে চলে গিয়েছ তেমনি তোমায় ঘিরে থাকা অনেক মানুষও আজ জীবনের খাতা থেকে হারিয়ে গিয়েছে । নানার সেই কোমল ডাক আর শুনি না, না বলা সত্ত্বেও মনের কথা বুঝে ফেলার অধিকারিণী নানু ছেড়ে চলে গিয়েছে , দুধে আলতা গায়ের ছোট্ট গড়নের দাদু হারিয়ে গিয়েছে সেই কবে , প্রথম খেলার সাথীরা কে কোথায় তাও জানি না । গলাগলি করে বেড়ে ওঠা ভাই বোনেরাও এখন কত দূরে দূরে । 
একরাশ হাহাকার আর সুখের স্মৃতি নিয়ে বুকের মাঝে আছ খুব যতনে । থাকবে আমৃত্যু । 
এই আমি 

ছবি ঃ নেট থেকে নেওয়া
৬২ টি মন্তব্য
narunabdনাসরিন চৌধুরী১২ জুন ২০১৪, ১৯:২৮
রাতে আসছি 
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১২ জুন ২০১৪, ১৯:৫১
আচ্ছা । 
KASHEM95এম, এ, কাশেম১২ জুন ২০১৪, ২৩:৩৯
নাসরিন ,

আমাকে সাথে নেবেন।

নাহলে খবর আছে কিন্তু....................
Mzarin31আরজু মুন জারিন১২ জুন ২০১৪, ১৯:৫২
প্রিয় শৈশব ,
তুমি যেমন একটু একটু করে অনেক পিছনে চলে গিয়েছ তেমনি তোমায় ঘিরে থাকা অনেক মানুষও আজ জীবনের খাতা থেকে হারিয়ে গিয়েছে । নানার সেই কোমল ডাক আর শুনি না, না বলা সত্ত্বেও মনের কথা বুঝে ফেলার অধিকারিণী নানু ছেড়ে চলে গিয়েছে , দুধে আলতা গায়ের ছোট্ট গড়নের দাদু হারিয়ে গিয়েছে সেই কবে , প্রথম খেলার সাথীরা কে কোথায় তাও জানি না । গলাগলি করে বেড়ে ওঠা ভাই বোনেরাও এখন কত দূরে দূরে । 
একরাশ হাহাকার আর সুখের স্মৃতি নিয়ে বুকের মাঝে আছ খুব যতনে । থাকবে আমৃত্যু । 
এই আমি 

অনেক ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা জানাচ্ছি অসাধারণ লেখাটির জন্য। মন্তব্য আর ও পরে। ভালো থাকুন বোন জেসমিন।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১২ জুন ২০১৪, ২০:০৪
অনেক ধন্যবাদ আপু । সময় পেলে আবার আসবেন । 
Maeenমাঈনউদ্দিন মইনুল১২ জুন ২০১৪, ১৯:৫৩
//জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ জুড়েই আছে সেই সবুজ শ্যামল গ্রাম।//

গ্রামের জীবনই পরিপূর্ণ জীবন। মানুষ সারাজীবন তার গ্রাম্য জীবনের স্মৃতি নিয়ে বেড়ায়... এটিই তার সুখস্মৃতি।
এটিই তার বেড়ে ওঠার প্রেরণা...

গ্রামের জীবনচিত্রটি সকলেরই প্রায় এক।
আপনার লেখায় নিজের জীবনের অনেককিছুই খুঁজে পেলাম। 
এত গুছিয়ে লেখতে পারেন, তবু লেখেন না! এটা পাঠকের প্রতি অবিচার 

যাক, ভালো থাকবেন... জেসমিন আপা  
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১২ জুন ২০১৪, ২০:০৯
ক্লাস এইট পর্যন্ত প্রতিবছর শীতে এক মাস গ্রামে বেড়াতাম । যদিও বেড়ে ওঠা শহরে । কিন্তু তারপরও পুরনো স্মৃতি হাতড়াতে গেলে কেন জানি সেই গ্রামে কাটানো স্মৃতিগুলো খুব মনে পড়ে । ফলশ্রুতিতে এই লেখা । 

হা হা । মেলা কষ্টে জোর করে চেয়ারে নিজেকে বসিয়ে রেখে এই লেখা লিখেছি । ভাল কিছু করতে আমার মেলা আলসেমি । দেখি অবিচার কিছু কমানো যায় কি না । ভ্রমণের লেখাগুলো সব জমে গেল । সেগুলো খসানো দরকার । 

অনেক অনেক ধন্যবাদ আন্তরিক মন্তব্যের জন্য । 
আপনিও ভাল থাকবেন । 
ZOMADDERমো: মালেক জোমাদ্দার১২ জুন ২০১৪, ২০:৪০
দুরন্ত শৈশব, 
এত অল্পেয় লিখে তোমায় কি শেষ করা যায় ? আহ ! আবার যদি ফিরে পেতাম তোমায় যান্ত্রিক , নাগরিক এই জীবনের বিনিময়ে তবে এক নিমিষেই পূরণ করে ফেলতাম হাজারো সব অপূর্ণ কাজগুলো । সত্যই সে দিন গোলো কথা মনে পড়ে সবের।ধন্যবাদ
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১২ জুন ২০১৪, ২১:৪৩
আপনাকেও ধন্যবাদ  । ভাল থাকবেন
Rabbaniরব্বানী চৌধুরী১২ জুন ২০১৪, ২১:২১
" একটু বকুনি খেলে অভিমানী মন কেঁদে আকুল হওয়া ," 

পরে অনেক আদর পাওয়া যেত বা চকলেট, মুরগীর রানটা তাই ছোট্ট বেলায় এই ফন্দি এঁটেছিলেন বলে মনে হচ্ছে।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১২ জুন ২০১৪, ২১:৪৪
সে আর বলতে । তবে একটু বড় হয়ে রাগ করা কমিয়ে দিয়েছিলাম । 
Rabbaniরব্বানী চৌধুরী১২ জুন ২০১৪, ২১:২৪
জানালার গ্রিল ধরে দূর আকাশে চেয়ে থেকে অনেক দূরে হারিয়ে যাওয়ার ইচ্ছে 
আর এ কারণেই মন উদাস হওয়ায় বেশ লিখতেও পারেন এখন। লেখার হাত পাকাও হচ্ছে। 

নিয়মিত লিখবেন, ভালো থাকবেন।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১২ জুন ২০১৪, ২১:৪৮
মনে মনে কথা বলার খুব অভ্যাস ছিল । তাই কিছুটা চুপচাপ স্বভাবের ছিলাম । 
লেখার হাত কতখানি তা জানি না তবে আপনাদের আন্তরিক মন্তব্য লিখতে খুব উৎসাহ যোগায় । 

অনেক অনেক ধন্যবাদ রব্বানি ভাই । 
খুব ভাল থাকবেন সবাইকে নিয়ে ।
pramanik99শ‍হীদুল ইসলাম প্রামানিক১২ জুন ২০১৪, ২১:৪১
লুৎফুন নাহার জেসমিনকে তো দেখাই যায় না। কোথায় থাকে? 

লেখা খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১২ জুন ২০১৪, ২১:৫১
থাকি আপনাদের আশে পাশে । শুধু জানান দেওয়া হয় না । এই আর কি । 

অনেক অনেক ধন্যবাদ প্রামাণিক ভাই ।
fardoushaফেরদৌসা১২ জুন ২০১৪, ২১:৪৬
 

দিলেন তো মন আরও খারাপ করে। 

গ্রামে আমার এত এত স্মৃতি যা লিখে শেষ করা যাবেনা
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১২ জুন ২০১৪, ২১:৫০
তাহলে কি করি !! 
ছোটবেলার দিনগুলি আসলেই এত সুন্দর আর ঝলমলে ছিল মনে পড়লে এম্নিতেই মন কেমন জানি হয়ে যায় । 

লিখে ফেলুন না সেই দিনগুলি নিয়ে কিছু কথা ।
fardoushaফেরদৌসা১২ জুন ২০১৪, ২১:৫১
ব্যস্ততা থেকে কিছুটা সময় নিয়ে লিখতে হবে।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১২ জুন ২০১৪, ২১:৫৪
অবশ্যই লিখে ফেলবেন । বুড়ো বয়সে জীবনের খাতা খুলে দেখার জন্য হলেও লিখে রাখুন ।
diponkar07দীপংকর চন্দ১২ জুন ২০১৪, ২১:৪৮
অসাধারণ!

ভালো লাগা অনিঃশেষ জানবেন।

শুভকামনা। সবসময়।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১২ জুন ২০১৪, ২১:৫৫
অনেক অনেক ধন্যবাদ । 
আপনার জন্য ও শুভকামনা ।
Jolrashiনুসরাত জাহান আজমি১২ জুন ২০১৪, ২২:০৮
শুধু তোমার চিঠিতে মন্তব্য করার জন্যই ব্লগে ঢুকলাম, তানাহলে আসতাম কাল সকালের দিকে। 

যাই হোক, শৈশবের চিঠিটা তো এক কথায় অসাধারন, আসলেই, ছোটবেলার কথা মনে হলে মনে হয়, ওটা যেন অন্য কোন জীবন ছিল। কোন দুঃখ ছিলনা, কেমন যেন স্বপ্নের মত লাগে শৈশবের কথা মনে হলে। কথায় কথায় অভিমান, সেটার ডিপার্টমেন্ট তো ছিল বিরাট বড়। কিছুতে কিছু হলেই অভিমান। 

মাঝে মাঝে শৈশবের কথা এতো বেশি মনে হয়, যে এই ব্যস্ত জীবনটাকে ফেলে ইচ্ছে করে হারিয়ে যাই শৈশবের ছায়ায়। ঝামেলাবিহীন, কষ্ট ছাড়া, সুখের লাগাম ছেড়া হাত ছানি সবকিছুকে কাছে পেতে খুব ইচ্ছে করে। 

খুব ভালো লিখসো। লাস্ট প্যারাটা মন খারাপ করে দেয়ার মত।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১২ জুন ২০১৪, ২২:২৯
বের হয়ে যাচ্ছিলাম । তোমার মন্তব্য দেখে ফিরে এলাম । 

এত ভালবাসায় মুগ্ধ ও আপ্লুত । 

আমি কখনো কারো সাথে আলোচনায় এক জীবনের সাথে আরেক জীবনের তুলনায় যাই না । আমার কাছে সব সময়ের আলাদা আবেদন আছে । 
কিন্তু কখনো যখন নীরব সময়ে চুপচাপ ভাবি তখন কেন জানি এই সময়ের স্মৃতি মনের মাঝে হানা দিতে থাকে । তারা যে চুপটি করে মস্তিষ্কের একটি জায়গায় সজতনে বাস করে তা এড়ানোর উপায় কি । সেটাই এখানে প্রকাশ করার চেষ্টা । 
অনেক অনেক ধন্যবাদ আজমি তোমার আন্তরিক মন্তব্যের জন্য । খুব ভাল থেকো ।
Sadatsabujসাদাত সবুজ১২ জুন ২০১৪, ২৩:২০
, সেজে কাল হল কতকাল
তবু যেন মনে হয় সেদিন সকাল ।

সোনালী দিন গুলো চোখের পলকে এভাবেই চলে যায় ।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৩ জুন ২০১৪, ২১:৪৪
হুম, এভাবেই চলে যায় । 
ধন্যবাদ সবুজ , লেখাটি পড়ার জন্য । 
ভাল থাকবেন ।
MirHamidহামি্দ১২ জুন ২০১৪, ২৩:২২
শৈশবকে লেখা চিঠি। শৈশবটা সবারই মোটামুটি একটা মিল থাকে। ভাল লিখেছেন। ভাল লিখেন আপনি। কষ্ট করে লিখবেন মাঝে মাঝে.....
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৩ জুন ২০১৪, ২২:৫৭
ধন্যবাদ হামিদ চিঠি পড়ে মতামত জানানোর জন্য । এই কষ্টটাই করতে ইচ্ছে করে না । 
শুভকামনা রইল
KASHEM95এম, এ, কাশেম১২ জুন ২০১৪, ২৩:৩৬
সোনার খাচার দিন গুলি মোর 
রইলো না আর রইলো না
সে যে আমার নানা রঙের দিন গুলি................।

চমৎকার শৈশব স্মৃতি,
কখনও কি যায় ভুলা?

সাবলীল বর্নণা আর প্রন্জল ভাষা ........... দারুন লেগেছে বোন।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৩ জুন ২০১৪, ২২:৫৯
সত্যিই শৈশব কি আর ভোলা যায় ? 

অনেক অনেক খুশি হলাম লেখা মন্তব্য করার জন্য । আমার লেখায় কোন ভুল পেলে নিশ্চিন্তে বলে যাবেন । 
শুভকামনা রইল
tmboss172তৌফিক মাসুদ১৩ জুন ২০১৪, ০১:১০
আবার যদি ফিরে পেতাম তোমায় যান্ত্রিক , নাগরিক এই জীবনের বিনিময়ে তবে এক নিমিষেই পূরণ করে ফেলতাম হাজারো সব অপূর্ণ কাজগুলো । 

এমনই দারুন সব কথামালায় ফুটিয়ে তুলেছেন আজকের লেখাটি। অনেক দিন পরে আপনার লেখা পেলাম জেসমিন আপু। 

শুভকামনা রইল যেখানেই থাকুন।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৩ জুন ২০১৪, ২৩:০৯
এর আগে আর একটা চিঠি লিখেছি । চোখে পড়েনি বোধহয় । 
আপনার জন্যও শুভকামনা । কেমন আছেন ?
narunabdনাসরিন চৌধুরী১৩ জুন ২০১৪, ২১:১৩
কালই তোমার চিঠিটি পড়েছিলাম কিন্তু মন্তব্য দিতে পারিনি।
বেশ গুছিয়ে লিখছো শৈশবের স্মৃতি। আসলে এগুলো ভুলা যায় না ।
দিন যত যায় অতীত তত মধুর হয়।

ভাল থেকো।শুভকামনা রেখে গেলাম।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৩ জুন ২০১৪, ২৩:১২
ধন্যবাদ নাসরিন আবারো এসে মতামত জানিয়ে যাওয়ার জন্য । 
দোয়া কইরো , আবার ডুবে যাওয়ার আগে যেন দুই একটা লেখা লিখে ফেলতে পারি । 

তুমিও ভাল থেকো । 
narunabdনাসরিন চৌধুরী১৫ জুন ২০১৪, ২১:২৩
ডুব দিয়োনা সোনা ---চালিয়ে যাও। তোমার গল্পের হাত শুধু ভাল না, বেশ ভাল। 
তোমাদের লেখা পড়েই আমার ব্লগে আসা।
তাই চাই লিখতে থাক কিন্তু ঝরে পড়োনা।
শুভকামনা।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৮ জুন ২০১৪, ২২:৩৯
এভাবে বলছ ? না লিখে পারা যাবে না । 
শুধু মাঝখানের গ্যাপ একটু বেশি হবে এই যা 
sularyআলভী১৫ জুন ২০১৪, ২১:১৯
আপু শৈশবকে যে ”মানপত্র” দিলেন তাতে আমরা বৃদ্ধরা অপমানিত হলাম। 

এমন অবারিত শৈশব ক’জনের কপালে জোটে? এই বয়সেও আমি আপনার সাথে শৈশবের পথ মাড়িয়ে এলাম। অসাধারন! অনিন্দ্য সুন্দরের মূর্ত প্রতিক। ধন্যবাদ না জানিয়ে উপাই কি তাই জানিয়ে গেলাম অনেক অনেক ধন্যবাদ।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ জুন ২০১৪, ২১:২২
আরেহ না কি বলেন !! 
আপনারা যে শৈশব পেয়েছিলেন তা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি আনন্দমুখর । আমাদের সারা বছর শহরের নানান নিয়মে আবদ্ধ রেখে এক মাসের স্বাধীনতা দিত । তাই বেশি মনে আছে । খুব ভাল লাগলো , এত পিছনের পোস্ট পড়ার জন্য । 
sularyআলভী১৫ জুন ২০১৪, ২১:৪২
আমি আপনার কোন পোষ্টই না পড়ে থাকতে পারিনা তবে ঢাকায় গিয়ে একটু অসুস্হ হয়ে পিজিতে ভর্তি ছিলাম যার জন্য এই দুটো পোষ্ট পড়া হইনি। বাকীটা আজকেই পড়বো বলে মনে করছি! আপনি নিয়মিত থাকবেন ব্লগ অনেক বেশী আলোকিত হবে। ধন্যবাদ আপু।
sularyআলভী১৫ জুন ২০১৪, ২২:৫১
sularyআলভী১৬ জুন ২০১৪, ১০:২৯
sularyআলভী১৭ জুন ২০১৪, ১২:৩২
sularyআলভী১৮ জুন ২০১৪, ২১:২২
আপু আবার কোথায় হারিয়ে গেলেন?
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৮ জুন ২০১৪, ২২:৩০
প্রথমেই দুঃখিত , দেরি হয়ে গেল । 
আপনি অসুস্থ্য ছিলেন ? তাই তো বলি আলভী ভাইকে দেখা যায় না কেন ? এখন কেমন আছেন ? 

যাই হোক , আপনার আন্তরিকতা কৃতজ্ঞতা তৈরি করে । 
sularyআলভী১৮ জুন ২০১৪, ২২:৪৬
আপু এখন সুস্হ্য। দোয়া করবেন। ধন্যবাদ।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৮ জুন ২০১৪, ২৩:০১
অবশ্যই মনে করে দোয়া করব ।
sularyআলভী২০ জুন ২০১৪, ১০:২৫
আপু অনেক কৃজ্ঞতা আপনার প্রতি।
anindyaantarঅনিন্দ্য অন্তর অপু১৫ জুন ২০১৪, ২২:৪৭
একরাশ হাহাকার আর সুখের স্মৃতি নিয়ে বুকের মাঝে আছ খুব যতনে । থাকবে আমৃত্যু । 

কিছু হাহাকার হয়ত এভাবেই বয়ে বেড়াতে হয় । মুগ্ধতা আপু
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৮ জুন ২০১৪, ২২:৩১
হুম, এমন হাহাকার সুখেরও বৈকি । 
অনেক অনেক ধন্যবাদ অপু । 
ভাল থেকো ।
Jalampwdআলম পিডাব্লিউডি১৬ জুন ২০১৪, ১৬:২৩
আহ্, শৈশব!!!!! এখন কেবলি দীর্ঘশ্বাস!!
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৮ জুন ২০১৪, ২২:৩৭
ঠিক তাই । সেটাই হয়তো নিয়ম ।
baganbilas1207কামরুন্নাহার১৯ জুন ২০১৪, ১৭:৫২
কষ্টের সাথে একরাশ মুগ্ধতা !!!! অসাধারণ জেসমিন, অসাধারণ !!!!!
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২১ জুন ২০১৪, ১৫:৫০
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু , লেখাটি পড়ার জন্য এবং অনুভূতি প্রকাশ করার জন্য ।
kamaluddinকামাল উদ্দিন২০ জুন ২০১৪, ১০:৪২
নষ্ট্যালজিক, সত্যিই যদি আবার ওখানে ফিরে যাওয়া যেতো !
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২১ জুন ২০১৪, ১৫:৫০
ফিরে তো আর যাওয়া যাবে না তাই এই স্মৃতি রোমান্থন
kamaluddinকামাল উদ্দিন২০ জুন ২০১৪, ১০:৪৫
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২১ জুন ২০১৪, ১৫:৫১
এমন লাফ দিয়ে পুকুরে নামা হয় নি । ভয় লাগত
kamaluddinকামাল উদ্দিন২০ জুন ২০১৪, ১০:৪৬
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২১ জুন ২০১৪, ১৫:৫২
এই খেলাটা খেলতাম তবে বেশি একটা ভাল পারতাম না
kamaluddinকামাল উদ্দিন২০ জুন ২০১৪, ১০:৪৭
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২১ জুন ২০১৪, ১৫:৫৩
বরশীতে মাছ ধরা হয়নি কখনো । তবে আমার এক দাদুকে দেখতাম সারাদিন পুকুর পাড়ে বসে থাকতেন বড়শি নিয়ে
farida143ফৈরা দার্শনিক২১ জুন ২০১৪, ১৫:৪০
লেখাটা পড়ে আমারও অনেক কিছু মনে পড়ে গেল  সত্যিই কি সুন্দর দিন ছিল  
জানি আবার ফিরে পাওয়া যাবেনা সেইদিন তবুও খুউউব ইচ্ছা করে আবার সেভাবে বাঁচতে, সেভাবে খেলতে, দৌড়াতে, ছুটে বেড়াতে... 
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২১ জুন ২০১৪, ১৫:৫৪
হুম, আর ফিরে পাওয়া যাবে না তাই তো মনে মনে পুরনো সেই দিনে ফিরে যাওয়া । 
ধন্যবাদ ফৈড়া । আপনার অনুভূতিগুলোও লিখে ফেলুন

1 comment: