Thursday, September 4, 2014

নতুন দেশে বাসা বদলানোর অভিজ্ঞতা : বড্ড ঝামেলা


পলাশ যখন আমাদের জার্মান আনার জন্য সব কাগজপত্র জমা দিচ্ছিল তখন বাসা আছে এমন একটি কাগজ ও জমা দিয়েছিল । কারণ বাসা নেওয়ার পর সেই কাগজ নিয়ে এমব্যাসিতে জমা দিলে ভিসা তাড়াতাড়ি পাওয়া যায় । এখানে উল্লেখ্য যে পলাশ গিসেন ইউনিভার্সিটির যে ব্যাচেলর রুমে থাকতো সেখানে আমাদের উঠাতে পারবে না কারণ বাচ্চা থাকলে ফ্যামিলি বাসা নিয়ে থাকতে হয় । আর ইউনিভার্সিটির ফ্যামিলি বাসা পেতে অনেক সময় লাগে বলে ও প্রাইভেট বাসা ভাড়া নিয়ে সেই কাগজ নিয়ে দেশে গিয়েছিলো ।পাশাপাশি ইউনিভার্সিটির ফ্যামিলি বাসার জন্যও আবেদন করে রেখেছিলো। আমরা জার্মান এসেছি ৫ অক্টোবর , আমাদের বাসা নেওয়া ছিল তার আগের মাস থেকে । কারণ কবে ভিসা হয় কবে আসতে হয় তার নিশ্চয়তা নেই দেখে । আমরা নতুন দেশের নতুন ঠিকানায় উঠলাম । গোছানো শুরু করলাম । সুন্দর ছিল বাসাটি । ভালোই পছন্দ হোল ।যদিও অনেক কিছু মাথায় রেখে থাকতে হবে । ঠিক যে রকম বুঝে পেয়েছি বাসা ছাড়ার সময় সেই রকম করে বুঝিয়ে দিতে হবে । কোন দেওয়ালে দাগ ফেলা যাবে না , কোন ছিদ্র করা যাবে না। করলে জরিমানা করা হবে ।বাসা রং করে দিতে হবে। সেই সঙ্গে পলাশও জানিয়ে দিল , পানি , বিদ্যুৎ হিসেব করে খরচ করতে । না হয় প্রচুর বিল আসবে ।সব কিছু মাথায় রেখে মানিয়ে নিতে শুরু করলাম।কিন্তু আমরা আসার ১০/১২ দিনের মধ্যে পলাশকে জানানো হোল সে ইউনিভার্সিটির ফ্যামিলি বাসা পেয়েছে । নভেম্বরে উঠতে হবে । পড়লাম তো বেশ ঝামেলায় । কারণ প্রাইভেট বাসা ছাড়তে হলে তিনমাস আগে বাড়িওয়ালাকে জানাতে হয় । না হয় এই তিনমাসের ভাড়া জরিমানা হিসেবে দিতে হবে । তার মানে প্রতিমাসে ৬০০ ইউরো । তারপরও পলাশ বাড়ীওয়ালার সাথে কথা বলল । বাড়ীওয়ালা বলল , তুমি নতুন ভাড়াটিয়া ম্যানেজ করে দিতে পারলে নভেম্বরে চলে যেতে পারবে ।যদিও এই বাসা থেকে পলাশের ডিপার্টমেন্ট কাছে , শপিং মলগুলি কাছে , বাস যখন তখন পাওয়া যায় , বাসার কাছেই পার্ক তারপরও বাসা আমরা ছেড়ে দিব এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হোল । যদি ভাড়াটিয়া ম্যানেজ করতে না পারি তাহলে আমাদের অক্টোবর মাসে দুই বাসা মিলে প্রায় ১১০০ ইউরো দিতে মনে রেখেই । এখানে ভাড়া আগাম দিতে হয় । 

শুরু হোল ভাড়াটিয়া ম্যানেজ করার পালা । পলাশ নেটে অ্যাড দিল । পরিচিতদের জানিয়ে রাখল । প্রতিদিন দুই তিনজন করে বাসা দেখতে আসে । কেউ সকালে , কেউ বিকালে । এদের সময় দিতে গিয়ে পলাশের পড়ালেখা বন্ধ । এ এক নতুন চাকরি । এই সুযোগে পলাশের জার্মান বলা ভালোই ঝালাই হোল । প্রায় ১৯ জন দেখার পর ভাড়াটিয়া পাওয়া গেলো । আমরা অবশ্য ঈদের দিন মানে ২৬ অক্টোবর নতুন বাসায় চলে এলাম । নতুন বাসায় কিছু আসবাবপত্র ইউনিভার্সিটির পক্ষ দেয় বলে আমরা আগের বাসার আসবাবপত্র না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম । কিন্তু আগের আসবাবগুলোর একটা বিহিত করার দরকার ছিল । কারণ এখানে ইচ্ছে করলেই যেখানে সেখানে জিনিস ফেলা যায় না । আবার জিনিস এক জায়গা থেকে আরেক জায়গা নেওয়াও ব্যায়বহুল । যে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলা হবে , সেখানে কয়টা জিনিস ফেলা হবে তার একটা লিস্ট দিয়ে আগাম টাকা পরিশোধ করতে হয় । আর তাই এখানে কেউ বাসা বদলাতে গেলে বা চলে যাওয়ার সময় হলে দাদা হাতেম তাই হয়ে যায় । আমরা অবশ্য নতুন বলে কাউকে পাচ্ছিলাম না দেওয়ার মত । তারপরও পলাশ তার এক চীনা কলিগ কে কিছু লাগবে কিনা জানালে , সে কয়েকটি আসবাব নিয়ে আমাদের কিছুটা উদ্ধার করে । বাকিগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলে আসতে হয় । অনেক সময় এই সুযোগে অন্যরাও মালামাল ফেলতে পারে , যদি আমাদের টা না নিয়ে অন্যগুলো নেয় তাহলে আমাদের টা থেকে গেলে জরিমানা দিতে হবে। তাই পলাশ রাত ৫ টায় গিয়ে সেই জায়গায় বসে থাকলো । কারণ লোক আসে ৬ টায় । আর সুরজ উঠে ৭ঃ ৩৫ এ । 
এর মাঝে একদিন পলাশ গিয়ে পুরো বাসা ধুয়ে মুছে পরিস্কার করে দিয়ে আসলো । বাড়ীওয়ালা দেখে বলল ,নতুন ভাড়াটিয়া যদি বলে রঙ করা লাগবে তাহলে আমাদের রঙ করে দিতে হবে । ভাগ্য ভালো নতুন ভাড়াটিয়া নিজেই রঙ করবে বলায় বেঁচে গেলাম । এছাড়াও বাসা বদলানোতে সিটি সেন্টারে গিয়ে জানানো , নতুন করে কাগজপত্র সব DAAD এর কাছে পাঠানোর ব্যাপার তো ছিলই । এখন আমরা ইউনিভার্সিটি নতুন বাসায় আছি কিছু সুবিধা কিছু অসুবিধা নিয়ে । এখানে এসে আমাদের অন্য তিন বাংলাদেশী পরিবার কে পাশে পেয়েছি , পানি , বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে একটু কম টেনশন করা যাবে এবং বাচ্চা এটা ওটা নষ্ট করে ফেলল নাকি তা নিয়েও তেমন চিন্তা নেই । কারণ গড়পড়তা সবার কাছ থেকেই যাওয়ার সময় ৪০/৫০ ইউরো কেটে রাখে ।পলাশের অফিস এখন একটু দূরে হয়ে গিয়েছে , দোকানগুলো দূরে এবং বাস আধাঘণ্টা পর পর থাকে । এইগুলো মেনে নিলাম । এই হোল বাসা বদলানোর নতুন অভিজ্ঞতা । এখানেও বাড়িওয়ালাদের অনেক দাপট । তবে সবাই নিয়ম মেনে চলে । 


এত ঝক্কির পরও আমার এদের কিছু কিছু সিস্টেম ভালো লেগেছে । বাসা বদলানোর সময় আমাদের দেশের কথা খুব মনে পড়ছিল । কত আরামেই না আমাদের দেশে বাসা বদলানো যায় । বাড়িওয়ালার টাকা পয়সা বুঝিয়ে দিলেই হোল । আবার অনেক সময় টাকা না দিয়ে চলেও যাওয়ার উদাহরণ আছে । এখানে সে সুযোগ নাই কারণ তিন মাসের টাকা বাসা নেওয়ার আগে দিয়ে রাখতে হয় । সেই টাকা বাসা ছেড়ে দেওয়ার পর ফেরত দেওয়া হয় । আবার কোন কিছু নষ্ট হলে জরিমানা দিতে হয় বলে সবাই নিজ গরজেই সব কিছুর যত্ন নেয় । তাই পরের ভাড়াটিয়া পায় ঝকঝকে বাসা । এমন সিস্টেম মন্দ নয় । 


{ কিছু বানান কেন জানি ঠিক ভাবে লিখতেই পারছি না । আমার এখানে মনে হয় কোন সমস্যা হয়েছে । ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । }
৪৬ টি মন্তব্য
Badal1995শওকত হোসেন বাদল১৪ নভেম্বর ২০১২, ০০:৫৬
জেসমিন ১ম
পড়ে পরে মন্তব্য করছি..........
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৪ নভেম্বর ২০১২, ০০:৫৯
অনেকদিন পর কোন পোস্টে এমন ১ম লেখাটি দেখলাম । 
প্রথম দিকে যখন ব্লগিং করতাম তখন আমরা কয়জন খুব চেষ্টা করতাম আমদের প্রিয় ব্লগারদের লেখায় ১ম হওয়ার জন্য । 
ঠিক আছে পরে পড়বেন ।
MatirMoynaমাটিরময়না১৪ নভেম্বর ২০১২, ০০:৫৬
বড়ই কষ্টদায়ক।

গত পরশু নুতন বাসায় উঠলাম।

সাদ মিটে গেছে জীবনের।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৪ নভেম্বর ২০১২, ০১:০০
আর বইলেন না । জার্মানি থাকতে আর বাসা বদলানোতে নাই ।
MatirMoynaমাটিরময়না১৪ নভেম্বর ২০১২, ০১:০১
বিদেশ জীবন এমনই আপা।
KohiNoorমেজদা১৪ নভেম্বর ২০১২, ০১:০৫
আগেই বলেছিলাম জার্মানিতে যাওয়া দরকার নাই, এখন ঝামেলা তো পোহাতে হবে। 
আসলে আমরা দেশে থেকে বিদেশকে কত কিছু মনে করি, স্বপনে কত কিছু দেখি কিন্তু বাস্তবতা বড় নিষ্ঠুর। তাই কবি লিখেছেন, ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি আমাদের দেশের মাটি। মজা করার জন্য প্রথম শব্দগুলি। ভাল থেকো সবাইকে নিয়ে। বোনাস হিসাবে জানলাম একটা নাম “পলাশ” 
কে এই পলাশ, বলো। ধন্যবাদ 
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৪ নভেম্বর ২০১২, ০১:০৮
হি হি । বলি নাই বুঝি ? 
পলাশ তো একটা ফুলের নাম । ঠিক বলেছি না ?
KohiNoorমেজদা১৪ নভেম্বর ২০১২, ০২:০২
হ্যাঁ। যে ফুলের কোন গন্ধ নাই। শুধু শালিক পলাশ ফুলকে ঠুকরায় 
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ০২:৫৮
গন্ধ না থাকলে কি হবে কি রূপ দেখেন নাই ? খালি যেটা নাই সেইটাই দেখলেন ।
fardoushaফেরদৌসা১৪ নভেম্বর ২০১২, ০১:০৬
তাও তো ভাল । আমাদের এখানে ২ বছরের বাসা ভাড়া একসাথে দিতে হয়। ২ বছরের যে পরিমান বাসা ভাড়া সেই হিসাবে ১০ পারসেন্ট দিতে হয় যে বাসা ঠিক করে দিবে সেই এজেন্টকে, ১০ পারসেন্ট দিতে হবে বাড়িঅলার লয়ারকে । কারন নিজের বাসা নিজে ভাড়া করা যায়না । আপনার লেখা দেখে ভাবছি আমিও এইসব নিয়ে লিখব একবার।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৪ নভেম্বর ২০১২, ০১:৩৭
সেখানে দেখি আরেক ঝামেলা । লিখবেন । আমরা কিছু জানতে পারবো ।
moutushi1basharমৌটুশি বাশার১৪ নভেম্বর ২০১২, ০১:১১
আপনার লেখাটি পড়লাম, আপনি ত তবু নতুন ভাড়াটিয়া উঠানর সুযোগ পেয়েছেন , ইংল্যান্ড এ তাও নেই , এজেন্সি পুরো টাকা কেটে রাখবে । টেনেন্সি এগ্রিমেন্ট ছাড়া কাওকে আল্যাও করবে না । এক সপ্তাহ থেকে ছেড়ে দিলেও কারপেট ময়লা হয়েছে দেখিয়ে এডভান্স কাটবে । আর না বুঝে ব্লাক লিস্টেড বাসায় উঠলে তো ক্রেডিট স্কোর পুরোই ধরা ।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৪ নভেম্বর ২০১২, ০১:৩৯
হুম , দেশের বাইরে সব জায়গায় এমন মনে হয় । এগুলো কিন্তু আমরা ঠিক ই মেনে নিই ।
Rjamilরশীদ জামীল১৪ নভেম্বর ২০১২, ০১:২৭
কেমন কাটছে বেলা...মাটির গন্ধের সাথে এই ফারাকবেলায়....!
ভাল কাটুক, কাটবেই। দূরে আছেন তবু কাছে আছেন এই মাটির। 
শুভেচাছ আপা
-----
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৪ নভেম্বর ২০১২, ০১:৪২
ভালোই আছি সবার থেকে দূরে থেকেও । ভালো থাকার চেষ্টা করছি । 
মন কে নিষেধ করি প্রিয়জনদের বেশি মনে করো না । তাহলে কষ্ট পাবে । 

খুব ভালো লাগলো আপনাকে দেখে । সবাই এখন কেমন দূরে দূরে চলে গেছেন । 
অনেক শুভেচ্ছা ।
Jalampwdআলম পিডাব্লিউডি১৪ নভেম্বর ২০১২, ০৯:৩৫
বাসা বদল আসলেই খুব কষ্টের কাজ। তারপর বিদেশ হলে তো কথায় নেই। ভাল থাকবেন আপা।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ০২:৫৯
আপনিও ভালো থাকবেন । দেশে তাও লোকজন থাকে বলে সবাই মিলে করা যায় ।
nomaansarkarনোমান সারকার১৪ নভেম্বর ২০১২, ১০:২৯
আপনার লেখাটা পড়লাম । খুবই ভালো লেগেছে ।এমন লেখা আরো চাই ।

জীবনের জটিলতা সব জায়গায় একই রকমের । কেবল এপারের মানুষ ওপারের মানুষ কে সুখী ভাবে । আসলে কাজের বিষয়ে আমাদের চেয়ে বিদেশে অনেক বেশি কাজ করতে হয় । তারপর আমরা এত ক্লান্ত কেন ? আমার মনে হয় রাস্তার ধুলা ,ধুয়া আর ট্রফিক জ্যাম না থাকলে সবচেয়ে সহজ হত আমাদের দেশের মানুষের জীবন । আর আমরা সব সময় বিরক্ত থাকি এ জন্যে যে আমরা জাতি হিসাবে ভোজন বিলাসী । টেবিল ভর্তি খাবার না দেখলে আমাদের কষ্ট হয় ।সেই দেশে খাবারের দাম মধ্যস্থভোগীদের কল্যাণে আমরা প্রতিদিন কিছু না কিছু খাবার মেনু থেকে বাদ দিচ্ছি । এমনকি অনেকে দেশি ফল খাওয়া ছেড়ে দিচ্ছেন । আরে সরকার যদি মধ্যবিত্ত শ্রেনীকে না বাচাওতে পারে ,তবে বুড়িগঙ্গার পরিনিতি হবে দেশের ।

আমার ধারনা আয় অনুযায়ী পৃথিবীর উন্নত দেশে খাবারের দাম সস্তা ,ফল ,দুধ ,সবজি ,মাংস । কিন্তু বাংলাদেশে কি ঘটছে ? আজকাল সেই মানুষ গুলোকে দেখা যায় না ।বিশাল বড় বড় বোঝা টানছে , ঠেলে ঠেলছে ,লম্বাচওড়া মানুষগুলো । সব মানুষ অপুষ্টিতে খাট হতে চলেছে । যেন সিলিম বানাতে দ্রব্যমূল্যের উদ্ধ গতি ।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ০৩:০৫
সত্যিই বলেছেন , জীবনের জটিলতা সব জায়গায় একই । শুধু অন্যকে ভালো মনে হয় । 

আপনারা পড়তে চাইলে আরও লিখবো । ভালো থাকবেন ।
MainulAminমাইনুল আমিন১৪ নভেম্বর ২০১২, ১১:৪৮
প্রিয় বোন লেখিকা লুৎফুন নাহার জেসমিন

গত পরশু নুতন বাসায় উঠলাম।
সাদ মিটে গেছে জীবনের। 
---------------প্রবাস বলে কথা । সব নিজেদেরই করতে হয় সেখানে । আমাদের দেশের মত এত কই-কমলা নেই । আমারও তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে প্রবাসের ।

একটা কথা বলি -----------অনুরোধ : ----------এখন কঠিন কলমকে স্বদেশ/প্রবাস দুদিকেই চালাতে হবে খঞ্জরের মত । একদিকে দেশ-জাতি অন্যদিকে প্রবাসী বাঙালি প্রজন্ম !
----------দুটোতেই সমান দক্ষতা অর্জন করুন, কঠিন কিন্তু ! 
তবে পারবেন, এ প্রত্যাশা --------------------------------------------
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ১৭:৫০
আমি লেখায় ততটা দক্ষ নয় । তাই মনের সব কথা কলমে ফুটিয়ে তুলতে পারি না । তারপরও আপনার কথা রাখার চেষ্টা করবো । 
দোয়া করবেন ।
Niloy1073নির্ঝর নাসির১৪ নভেম্বর ২০১২, ১২:৪০
আসলেই অনেক কষ্টদায়ক। ভালো থাকবেন আপা।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ১৭:৫৭
আপনিও ভালো থাকবেন । শুভকামনা ।
Rabbaniরব্বানী চৌধুরী১৪ নভেম্বর ২০১২, ১৩:৩১
সবই পড়লাম। বিদেশে বা উন্নত দেশে বসবাস করলে অনেক সহজ, পরিকল্পিত বা উন্নত জীবন যাপনের পাশাপাশি দেশের মানুষের বড় অভাব অনু্ভব হয়, কোন বিপদের মূহর্তে কোন আপন জন ছুটে আসবে কিনা বলা মুশকিল আর এ সমস্যা প্রকট হয় যারা নুতন একটি দেশে প্রবাসী হয়েছেন আর বার বার নিশ্চিত হতে হয় পাস-পোর্ট, ভিসা সংক্রান্ত কাগজ পত্র ঠিক আছে কিনা। 

আশা রাখছি দ্রুত প্রবাসী জীবনের সাথে সব মানিয়ে নিবেন আর সহজে দেশে ফিরতে চাইবেন না অনেকের মত, জীবনের নিরাপত্তা আর শহরে যানজটের কথা ভেবে। ভালো থাকবেন।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ১৮:০০
না ভাই , এখনো নিজ দেশে ফিরে যাবো সেই আশাতেই আছি । যদিও অনেক সমস্যা দেশে তারপরও নিজের দেশের চেয়ে স্বাধীনতা আর কোন দেশে পাবেন ? সব জায়গায় আমরা অন্য দেশের লোক হিসেবেই তারা আমাদের মনে করে । 

বাকি টা আল্লাহর ইচ্ছা ।
Jolrashiনুসরাত জাহান আজমি১৪ নভেম্বর ২০১২, ১৩:৩৯
আপু, নতুন নতুন এমন অভিজ্ঞতা শেয়ার করবা, পড়তে ভালো লাগে। আবার কিছু জানতেও পারি। 

নতুন দেশে নতুন নতুন মুসিবত তো হবেই। যাই হোক, ভাইয়া আর পিচ্চিটাকে সাথে নিয়ে খুব ভালো থাক, এই দোয়া করি। 
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ১৮:০৩
ঠিক আছে আপুনি তোমার জন্য হলেও আমার চোখে দেখা এমন নতুন কিছু নিয়ে লিখবো । বাকিরা পছন্দ করুক আর না করুক । 

খুব খুব ভালো থেকো ।
Jolrashiনুসরাত জাহান আজমি১৭ নভেম্বর ২০১২, ১৫:৫৯
 
charumannanচারুমান্নান১৪ নভেম্বর ২০১২, ১৪:০৪
বাহ দারুন জীবন যাপনরে কথা,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ২০:৩২
ধন্যবাদ মান্নান ভাই । আপনাকে দেখে ভালো লাগলো ।
MYousufমোহামমদ ইউসুফ১৪ নভেম্বর ২০১২, ১৪:১৯
জেসমিন আপা । একেবারেই সত্যি কথা । আমাদের ও একই অবস্থা । তবে মনে হয় আপনাদের ওখানকার চেয়ে একটু কম ভোগান্তি। এখানে পুরান জিনিস কেনার কিছু ব্যবসায়ী আছে । খবর দিলে বাসায় এসে পানির দামে কিনে নেয় সব । ভাড়া তো অগ্রিম দিতেই হয় । বার্ষিক, সন্মাসিক, ত্রিমাসিক যেভাবে কনট্র্যাক্ট করা যায় । তবে যাই বলেন বাসা শিফটিং আমার কাছে মনে হয় পৃথিবীর মাঝে সবচেয়ে কঠিন কাজ । তাই আমি ৭ বৎসর একই বাসায় আছি ।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ২০:৩১
পারলে আরও থাকেন একই বাসায় । ধন্যবাদ পড়ার জন্য । 
ভালো থাকবেন ।
pramanik99শ‍হীদুল ইসলাম প্রামানিক১৪ নভেম্বর ২০১২, ১৪:৫৮
ভাল লাগল বাসা বদলানোর কাহিনী। ধন্যবাদ
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ২০:৩০
আপনাকেও ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন প্রামাণিক ভাই ।
Chatokpakhi1to6চাতক পাখ ।১৪ নভেম্বর ২০১২, ১৫:২৪
আমি তো তাহলে অনেক মজায় আছি দেখা যায় 
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ২০:২৯
তাই নাকি ? থাকেন তাহলে মজায় ।
mukto75মুক্তমন৭৫১৪ নভেম্বর ২০১২, ১৫:৪৮
এখানেও বাড়িওয়ালাদের অনেক দাপট । তবে সবাই নিয়ম মেনে চলে সবখানেই জমিদাররা আছেই। 
তবে নিজের দেশের মতো আরামে সারা পৃথিবীর কোথাও থাকতে পারবেন না আপা। এইটাই হচ্ছে বাস্তবতা। আর আমাদের বাংলাদেশে তো একদম নিজের ইচ্ছে মতো থাকা যায়---- 
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ২০:২৮
বাহিরে আসার পর থেকে আমার এটাই মনে হচ্ছে , নিজের দেশের মত শান্তি কোথাও নেই । বাংলাদেশ বলে আমরা আরও বেশি নিজের মত থাকতে পারি ।
chomok001মোঃ হাসান জাহিদ১৪ নভেম্বর ২০১২, ১৯:৩১
বাসা বদলানো এই সব দেশে বেশ ঝামেলার ব্যাপার । আমি নিজেও দুবার বেশ ঝামেলা করে বাসা বদলিয়েছি । তাই আর ভালো লাগে না । বিভিন্ন সমস্যা থাকলেও এই বাসাটাতে তিন বছর যাবৎ আছি । আপনার পোস্টটির জন্য ধন্যবাদ । ভালো থাকবেন ।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ২০:২৫
আমরাও আর কোথাও নড়ছি না । যতদিন আছি এখানেই থাকব । 
শুভেচ্ছা জাহিদ ভাই । ভালো থাকবেন ।
ehasan48আলইমরান১৪ নভেম্বর ২০১২, ২০:৪৭
সিরিয়াস ব্যাপার স্যাপার। জার্মানের জীবন যাত্রা নিয়ে একটা ধারাবাহিক লেখা শুরু করে দেন। আমি আছি পাঠক হিসেবে।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ২০:২৪
তাহলে তো শুরু করে দিতে হয় । 
কেমন আছেন ? ভাবী , মেয়ে ভালো তো ?
salahuddinsiteসালাহ্ আদ-দীন১৫ নভেম্বর ২০১২, ০৪:০২
আমারও এরকম একটা মজার কাহিনী আছে। 
সময় হলে একদিন বলব। 
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৫ নভেম্বর ২০১২, ২০:২২
অপেক্ষায় থাকলাম ।
Rongpencilরঙপেন্সিল১৫ নভেম্বর ২০১২, ২২:১০
আপনার অভিজ্ঞতা পড়তে তো আমাদের ভালোই লাগলো। কিন্তু ঝক্কি তো গেছে আপনার উপর দিয়েই। যাই হোক, আপনার প্রবাস জীবন সুন্দর আর আনন্দময় হয়ে থাকুক এই কামনা......
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন১৮ নভেম্বর ২০১২, ১৭:৩১
ঠিক কথাই বলেছেন রঙ। 

অনেক অনেক ভালো থাকবেন ।

No comments:

Post a Comment