Friday, September 12, 2014

জুরিখ ভ্রমণ




উচু জায়গা থেকে জুরিখ শহরের এক অংশ 

ইউরোপ আসার সাথে সাথে মনে মনে একটা গোপন ইচ্ছে ছিল সুইজারল্যান্ড যাওয়ার । চারদিকে উচু নিচু পাহাড় তার মাঝে ঘরবাড়ি এভাবেই কল্পনায় ছিল সুইজারল্যান্ড । পলাশেরও পরিকল্পনা ছিল যতটা পারে আমাদের নিয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ঘুরবে । বেশ কিছু জায়গা দেখাও হয়েছে । সুইজারল্যান্ড গেলে কোন জায়গা দেখতে যাব এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে গিয়ে জুরিখ , ইনটারলাখেন এই দুইটা জায়গার ভিডিও ইউটিউবে দেখা হল । স্বাভাবিক ভাবেই ইন্তারলাখেন পছন্দ হল । ঠিক আমার কল্পনার মত । উচু নিচু পাহাড়ের মাঝ দিয়ে পাহাড়ের একেবারে উচুতে উঠে যাও ট্রেনে করে । ভাবতেই ভাল লাগছিল । গত সেপ্টেম্বরের দিকে পলাশ সব বাছাই করে ঠিক করে ফেলল । সঙ্গে তার আরেক সহকর্মী হুমায়ূন ভাইয়ের পরিবারও যাওয়ার কথা ছিল । কিন্তু সেই ভাই কি কারণে যেন ব্যস্ত হয়ে গেলেন তখন আর যাওয়া হল না । তারপর শীত চলে আসায় সেখানে যাওয়া মুলতবী । এর মাঝে আরও দুই তিন জায়গা দেখা হয়ে গেল । সেই সঙ্গে ইন্তারলাখেন যাওয়ার আশা ক্ষীণ হয়ে আসছিল । এক ,পলাশের পড়ালেখার চাপ বাড়ছিল আরেক বাজেটেরও চিন্তা ছিল । যদিও পলাশ বলেছিল সেপ্টেম্বর অক্টোবরের দিকে তার কাজ কমে এলে এবং হাতে টাকা পয়সা থাকলে ভাবতে পারে যাওয়ার । অতএব মনে মনে ক্ষীণ আশা নিয়েই থাকলাম । দুই সপ্তাহ আগে পলাশের এক ডাক্তার বন্ধু হঠাৎ করে প্রস্তাব দিল যদি একটা প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করি তাহলে কোথাও ঘুরতে যাবেন কি না ? পলাশ রাজি হল । তিন তারিখ রাতে উনি ফোন করে বললেন , গাড়ি ম্যানেজ করা যাবে । জুরিখ যাবেন কি না ? একেবারে না যেতে পারার চেয়ে জুরিখ তো দেখা গেল সেই আশায় লাফ দিয়ে রাজি হয়ে গেলাম । ৫ ই এপ্রিল সকালে রওনা দিলাম জুরিখের উদ্দেশ্যে । কয়েকদিন ধরে আবহাওয়া ভাল থাকলেও সেদিনই বেছে বেছে বৃষ্টি শুরু হল । আমরা স্টেশনে গিয়ে পৌঁছানো মাত্রই শুরু হল । আর সকাল সকাল বৃষ্টি দেখে মনটা দমে গেল । পলাশকে জিজ্ঞেস করলাম , জুরিখের কি অবস্থা থাকবে? সে বলল ,সেখানেও বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে ।মন খারাপ করা ছাড়া আর কিইবা করার ছিল তখন । 

যাই হোক , আমাদের গাড়ি সকাল সাতটায় ফ্রাঙ্কফুর্ট স্টেশন থেকে রওনা দিল । জার্মানির হাইওয়ে দিয়ে এত লম্বা ভ্রমণ এই প্রথম । এর আগে একবার একটা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম কিন্তু তা অল্প কিছুক্ষণের ছিল । গিসেন থেকে জুরিখ প্রায় ৫০০ কিমি দূরে । জার্মানিতে হাইওয়েকে অটোবান ( auto bahn ) বলে । পৃথিবীর সবচেয়ে ঘন ও লম্বা হাইওয়ে জার্মানিতে । এর মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ১২,৮৪৫ কিমি । জালের মত বিছিয়ে আছে ছয় লেন বিশিষ্ট এই অটোবান http://en.wikipedia.org/wiki/Autobahn সারা জার্মানি জুড়ে । মজার বিষয় হল , পাহাড়ের উচু নিচু ঢাল দিয়ে চলে যাওয়ায় সময় বোঝারও উপায় নেই গাড়ি চলাচল করছে কি না । আমাদের গাড়ি চলল বিরামহীন গতিতে । কোন হর্ন নেই , কাউকে কারো টপকে যাওয়ার প্রতিযোগিতা নেই । যার এগিয়ে যাওয়ার দরকার সে পাশের লেন দিয়ে সামনে চলে যাচ্ছে । ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে জুরিখ গিয়ে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা লেগেছিল মাঝখানে দুইবার বিরতিসহ । আকাশ সেই যথারীতি গোমড়া মুখ নিয়ে আছে । সূর্যের দেখা নেই , মাঝে মাঝে কুয়াশায় সব ঝাপসা । বাসেল নামক শহর জার্মানির শেষ শহর ছিল সুইজারল্যান্ড ঢোকার আগ পর্যন্ত । সেখান থেকে জুরিখ পৌঁছাতে আমাদের ৪৫/৫০ মিনিট লেগেছিল । বাসেলে আমাদের গাড়িতে ৪০ ইউরোর বিনিময়ে একটা স্তিকার লাগিয়ে দিল । এছাড়া আর কোন চেকিং বা কাগজপত্র দেখেনি । যদিও পাসপোর্টসহ সবকিছুই আমরা সঙ্গে রেখেছিলাম । বাসেল থেকে যখন সুইজারল্যান্ড ঢুকলাম মনে হল যেন প্রকৃতিতে আলাদা একটা পার্থক্য তৈরি হয়েছে । যদি খারাপ আবহাওয়ার জন্য খুব ভাল বুঝতে পারিনি । তবুও দেখা গেল উচু নিচু পাহাড়ের চড়াই উতরাই । গাছে গাছে ফুল , আর ফাঁকে ফাঁকে ইউরোপিয়ান বাড়ি । আর কিছুক্ষণ পর পর পাহাড়ের নীচ দিয়ে দীর্ঘ রাস্তা । সেরকম একটা পাহাড়ের নীচ দিয়ে যাওয়া শেষ করে জানতে পারলাম আমরা সাড়ে চার কি মি দীর্ঘ টানেল পার হয়ে এসেছি !! 

জুরিখ পৌঁছে ট্রেন স্টেশনের কাছে একটি পারকিং এর জায়গায় আমাদের গাড়িটা পার্ক করে রাখা হল । খুব হুট করে এই আয়োজন করায় শহরের ঠিক কোন কোন জায়গা দেখা হবে তা আগে পরিকল্পনা করা হয়নি , যা অন্য সব ভ্রমণে আমরা করে থাকি । এতে সময় অনেক বেশি পাওয়া যায় । আমরা জুরিখ লেক দেখার উদ্দেশ্যে হাটা শুরু করলাম । এই ফাঁকে জুরিখ নিয়ে একটু বলে নিই । ইউরোপের সবচেয়ে সৌন্দর্যময় দেশ হল সুইজারল্যান্ড । একে ইউরোপের কেন্দ্রস্থল বলা হয় । জুরিখ হল ইউরোপের প্রাচীনতম একটি শহর এবং সুইজারল্যান্ডের বৃহত্তম শহর। মানুষের বসবাসের জন্য পৃথিবীর সবেচেয়ে উপযোগী শহরগুলোর একটি ভাবা হয় জুরিখকে । এর আয়তন ৮৭.৮৮ বর্গ কি মি এবং জনসংখ্যা প্রায় ৩৬৬,৭৬৫ জন ( ২০০৯)। জুরিখের ভাষা জার্মান । যদিও তাতে সুইসদের নিজস্ব টান আছে । এখানে যে ছয় ঘণ্টা ছিলাম তাতে মনে হল এদের প্রধান বাহন ট্রাম । রাস্তায় প্রচুর লোকজনকে হেঁটে চলাচল করতে দেখলাম । আমার অল্প দেখায় শহরটাকে খুব ছিমছাম মনে হয়েছিল । অথচ আগে শুনে শুনে মনে হয়েছিল কি না কি !! 

চলবে--- 

আজ কিছু ছবি দিলাম 



যাওয়ার পথে ক্যামেরায় ধরা দিল 



পাহাড়ের ভিতর দিয়ে তৈরি রাস্তা 



থিয়েটার ভবন 







জুরিখ লেকের একটা ছবি দিলাম আজ । 
বাকিগুলো পরের বর্ণনার সাথে থাকবে ।
৬২ টি মন্তব্য
abdulhaqueমোহাম্মাদ আব্দুলহাক২৮ জুন ২০১৪, ১৯:৩৫
ভ্রমণ প্রাণবন্ত হোক।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২০:১২
ইদানিং ভ্রমণ করা হয়ে উঠছে না মেয়ের বাবার ব্যস্ততার জন্য । 
দোয়া করবেন ।
abdulhaqueমোহাম্মাদ আব্দুলহাক২৮ জুন ২০১৪, ২২:৫৭
আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন। আমিন।
aihena039আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম২৮ জুন ২০১৪, ১৯:৪৮
চমৎকার ছবিগুলোর সাথে অনবদ্য ভ্রমণ কাহিনী। পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম। 

ধন্যবাদ, বোন জেসমিন।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২০:১৩
এইটুকুয় লিখে রেখেছিলাম সেই কবে । 
গতকাল ভাবলাম যেটুকু আছে দিয়ে দিই । তাহলে পোস্টের ফিডব্যাক দেখে বাকিটুকু লিখে ফেলতে ইচ্ছে করবে । 

শুভেচ্ছা হেনা ভাই ।
bn15ukউদয়ের বাণি২৮ জুন ২০১৪, ২০:০৬
ভ্রমন হোক আনন্দের ।

শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা রহিল ।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২০:১৬
এখানে ভ্রমণ ভালই আনন্দের হয় । ঝুট ঝামেলা কম থাকে । শুধু ওয়েদার মন মত পাওয়া যায় না । 

ধন্যবাদ । আপনার জন্যও শুভকামনা ।
২৮ জুন ২০১৪, ২০:৩০
শুভকামনা রইল অনেক দিন ভ্রমণ বিষয়ক পোস্ট। 
যেখানেই থাকুন পরিবার নিয়ে সুস্থ্য সুন্দর থাকুন।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২১:৪৫
হ্যাঁ , ভ্রমণ পোস্ট অনেকদিন পর দেওয়া হল । 
কেমন আছেন আপনি ?
sularyআলভী২৮ জুন ২০১৪, ২০:৪২
কারন দর্শানোর নোটিশ দেয়া হলো সেই এপ্রিলে ভ্রমন আর পোষ্ট আজকে দেয়ার জন্য।

এত সুন্দর দেশ বলেই বাংলাদেশের রাজনিতীবিদরা সব টাকা আপনার সুইস ব্যাংকে জমা করছে।

দেশ যত সুন্দরই হোক না কেন আর্জেন্টিনার সাথে ধরাসয়ি হতে হবে।

আপনি রোজা আছেন জেনে রমজানুল মোবারক।

lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২১:৫৭
প্রধান কারণ হল আলসেমি 

এত সুন্দর দেশটা সেভাবে উপভোগ করে দেখতে পারিনি । ভাবতে গেলেই মনটা খারাপ হয়ে যায় । 
ধরাসায়ি হইলে হোক , আমার আপত্তি নাই । 

ধন্যবাদ আলভী ভাই
sularyআলভী২৮ জুন ২০১৪, ২২:২১
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২২:২৪
sularyআলভী২৮ জুন ২০১৪, ২২:৪৪
আপনার সেই ফুলটা ফেরত দিলাম।

lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২২:৫২
নিলেন কবে ? আচ্ছা নিলাম । ধন্যবাদ
sularyআলভী২৮ জুন ২০১৪, ২২:৫৪
narunabdনাসরিন চৌধুরী২৮ জুন ২০১৪, ২১:৩০
এক নিঃশ্বাসে পড়লাম---বেশ গুছিয়ে লিখেছো।‌
আমারো খুব ইচ্ছা --সুইজারল্যান্ড থেকে ঘুরে আসব। দেখি সময় করে।
ছবিগুলোও বেশ।
শুভকামনা
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২২:০৯
দম নিয়া পড়লেও ক্ষতি ছিল না 

অবশ্যই যাবা । পারলে ইন্টারলাখেন যাবা এবং অবশ্যই ওয়েদার দেখে যাবে । 

শুভকামনা তোমার জন্য । 
baganbilas1207কামরুন্নাহার২৮ জুন ২০১৪, ২১:৪৭
এপ্রিল মাসের বেড়ানোর বর্ণনা এতদিনে    
বর্ণনা দারূণ বলে মাফ করা গেলা। 
অসাধারণ ছবিগুলোও।
ভাল থেক জেসমিন। 
তোমাদের ওখানে কি রোজা শুরু হয়ে গেছে ?
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২২:২৪
হি হি আপু আর বইলেন না । অর্ধেক লিখে আর লিখতে ইচ্ছে করে না তাই দেওয়া হচ্ছিল না । আজ সেই অর্ধেকটুকুই দিয়ে দিলাম । সেই ঠেলায় পড়ে যদি বাকিটুকু লিখা হয় আরকি । 
হ্যাঁ , আমরা আজ থেকে রোজা রাখছি ।
baganbilas1207কামরুন্নাহার২৮ জুন ২০১৪, ২৩:০০
বাকিটুকুর অপেক্ষায় রইলাম, অবশ্য রোজায় আমি ব্লগে সময় দেই না বললেই চলে।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২৩:০৩
কাল , পরশু দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব আপু । আগামী পর্বেই ছবি থাকবে বেশি । সময় পেলে দেখে নিয়েন ।
Mzarin31আরজু মুন জারিন২৮ জুন ২০১৪, ২২:২৬
চমত্কার একটি পোস্ট জেসমিন। আমি এতক্ষণ দেখলামনা কেন ? আমার চোখের সমস্যা হয়েছে। শনিবার এর ঝিমান দিন টিকে ঝলমলে পোস্ট দিয়ে একেবারে সচল করে দিয়েছ আপু। অনেক ভাল লাগা তোমার পোস্ট এ।
sularyআলভী২৮ জুন ২০১৪, ২২:৩০
ব্রাজিল -১ , চিলি-১
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২২:৫৩
ব্রাজিলের কপালে কি দুঃখ আছে নাকি ? আল্লাহ জানে
Mzarin31আরজু মুন জারিন২৮ জুন ২০১৪, ২২:৩১
চমত্কার একটি পোস্ট জেসমিন। আমি এতক্ষণ দেখলামনা কেন ? আমার চোখের সমস্যা হয়েছে। শনিবার এর ঝিমান দিন টিকে ঝলমলে পোস্ট দিয়ে একেবারে সচল করে দিয়েছ আপু। অনেক ভাল লাগা তোমার পোস্ট এ।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২২:৫৮
হা হা , আপু যে কি বলেন না । হয়ত অন্য কাজে ব্যস্ত ছিলেন । এক সময় সময় করে পড়ে নিলেই হল , যদি পড়তে ইচ্ছে করে আর কি । 

অনেক ধন্যবাদ 
Mzarin31আরজু মুন জারিন২৮ জুন ২০১৪, ২২:৩২
ভ্রমন পোস্ট এ গুছিয়ে লিখতে পারা টা বড় ব্যাপার। আমি পারিনা গুছিয়ে লিখতে ভ্রমন পোস্ট। তুমি চমত্কার গুছিয়ে পোস্ট টি করেছ। অনেক ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা রইল। 
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২৩:০১
চেষ্টা করি যতটা সম্ভব তথ্য দিয়ে , নিজের চোখ দিয়ে যা দেখেছি তা পাঠকদের মনে ঢুকিয়ে দেওয়ার । কতটা পারি জানি না । 
আপনার ভাল লেগেছে জেনে ভীষণ ভাল লাগল ।

খুব ভাল থাকবেন আপু । 
pramanik99শ‍হীদুল ইসলাম প্রামানিক২৮ জুন ২০১৪, ২২:৫১
চমৎকার ছবি এবং ভ্রমণ বৃত্তান্ত। খুব ভাল লাগল। ধন্যবাদ
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২৩:০৯
সময় করে পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ প্রামাণিক ভাই
diponkar07দীপংকর চন্দ২৮ জুন ২০১৪, ২২:৫৬
বাকিটুকু লিখে ফেলতে ইচ্ছে করবে ।

আশাকরি করবে।
কারণ ভালো লাগলো লেখা।
ভ্রমণ পরিপূর্ণ হোক।

শুভকামনা অনিঃশেষ জানবেন। সবসময়।

আপনকে পত্র জয়ের শুভেচ্ছা কী জানিয়েছি আমি?
না জানিয়ে থাকলে এখন জানালাম।

শুভেচ্ছা অনেক অনেক অনেক।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৮ জুন ২০১৪, ২৩:১১
বলছেন যখন দেখি আজ রাতেই বসে যাব বাকিটুকু লিখে ফেলতে । 

না জানান নাই । এই জন্য জরিমানা করতে হবে আপনাকে । অবশ্য আমিও জানাইনি তাই কাটাকাটি ।
অনেক অনেক শুভকামনা ও শুভেচ্ছা । 
ভাল থাকবেন 
MirHamidহামি্দ২৮ জুন ২০১৪, ২৩:২৮
ভ্রমণ কাহিনী পেলে আমি একটানে পড়ে ফেলি। আমার খুবই প্রিয় বিষয়। 
ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্টটির জন্য
আপনাদের কাছ থেকে এই ধরনের আরও পোস্ট আশা করি
শুভেচ্ছা জানবেন..................
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ জুন ২০১৪, ২২:২২
বাহ , তাহলে তো ভালই করেছি দিয়ে । অপেক্ষা করেন আরও কিছু ভ্রমণ পোস্ট লেখা বাকি ।
যত তাড়াতাড়ি পারব দিয়ে দিব । 
অনেক অনেক ধন্যবাদ । 
ভাল থাকবেন । 
CHOWDHURY88সাঈদ চৌধুরী২৯ জুন ২০১৪, ০০:১৪
ভালো লাগলো খুব । ধণ্যবাদ আপু সুন্দর ছবিগুলো দেওয়ার জন্য
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ জুন ২০১৪, ২২:২৪
আপনাকেও ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ে মতামত জানানোর জন্য ।
kamaluddinকামাল উদ্দিন২৯ জুন ২০১৪, ০৭:৩৩
পড়লাম, এবং বাকীটাও পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম........২য় ছবিটায় তো দেখছি ঘোড়ায় চড়িয়া মর্দ হাটিয়া চলিল 
sularyআলভী২৯ জুন ২০১৪, ০৭:৪৮


ঘোড়া ঘাড়ে মর্দায় হাঁটিয়া চলিল।
sularyআলভী২৯ জুন ২০১৪, ১৬:৩২
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ জুন ২০১৪, ২২:২৭
হ্যাঁ , ঐ মুহূর্তে তাই মনে হয়েছিল । তাই তো মজার ছবিটি ক্যামেরা বন্দী করা হয়েছিল । 
শুভেচ্ছা কামাল ভাই । দেখি কাল পরশু বাকিটুকু দিয়ে দিব ।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ জুন ২০১৪, ২২:৩২
আলভী ভাই এই ছবি জোগাড় করলেন কোথায় থেকে ?
kamaluddinকামাল উদ্দিন৩০ জুন ২০১৪, ০৯:৫৭
nomanনিষাদ২৯ জুন ২০১৪, ০৯:১৫
ছবি আর লিখার ষ্টাইল দুটোই চমৎকার
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ জুন ২০১৪, ২২:৩৩
তাই ? অনেক ধন্যবাদ । 
ভাল থাকবেন ।
shsiddiqueeছাইফুল হুদা ছিদ্দীকি২৯ জুন ২০১৪, ১১:২৯
অনেকদিন পর আপনার একটা লেখা পেলাম। 
ছবিতে আমাদেরও ভ্রমন হলো। 
ভালো থাকুন ।শুভেচ্ছা অবিরত।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ জুন ২০১৪, ২২:৩৫
আমি কিন্তু গত এক মাসে চারটা লেখা দিয়ে ফেলেছি । 

ধন্যবাদ ছাইফুল ভাই । খুব ভাল লাগল আপনাকে পেয়ে । 
ভাল থাকুন
Chatokpakhi1to6চাতক পাখ ।২৯ জুন ২০১৪, ১১:৩৫
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ জুন ২০১৪, ২২:৩৭
:
আমিও দিলাম এত্তগুলা
jadobযাদব সূত্রধর২৯ জুন ২০১৪, ১৩:২৯
আপনার ভ্রমনসঙ্গী হতে পেরে ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ আপু।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ জুন ২০১৪, ২২:৩৮
আপানাকেও অনেক ধন্যবাদ যাদব দা 
ভাল থাকবেন ।
jadobযাদব সূত্রধর২৯ জুন ২০১৪, ১৩:২৯
আপনার ভ্রমনসঙ্গী হতে পেরে ভাল লাগছে।
ধন্যবাদ আপু।
Rabbaniরব্বানী চৌধুরী২৯ জুন ২০১৪, ১৩:৩১
পাহাড়ের উচু নিচু ঢাল দিয়ে চলে যাওয়ায় সময় বোঝারও উপায় নেই গাড়ি চলাচল করছে কি না । আমাদের গাড়ি চলল বিরামহীন গতিতে । কোন হর্ন নেই , কাউকে কারো টপকে যাওয়ার প্রতিযোগিতা নেই । যার এগিয়ে যাওয়ার দরকার সে পাশের লেন দিয়ে সামনে চলে যাচ্ছে । ফ্রাঙ্কফুর্ট থেকে জুরিখ গিয়ে পৌঁছাতে আমাদের প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা লেগেছিল মাঝখানে দুইবার বিরতিসহ । 

জুরিখ ভ্রমণের বর্ণনা ও ছবিগুলি খুব ভালো লাগলো, মাঝে মাঝে শেয়ার করবেন। অনেক অনেক শুভেচ্ছা জানবেন। ভালো থাকবেন।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন২৯ জুন ২০১৪, ২৩:০৯
ধন্যবাদ রব্বানি ভাই । চেষ্টায় আছি তাড়াতাড়ি দিয়ে ফেলার । দেখা যাক 
শুভেচ্ছা ও শুভকামনা । 
ভাল থাকবেন
Shimi12ফেরদৌসী বেগম (শিল্পী)৩০ জুন ২০১৪, ১১:২৮
বেশ তো, অসাধারণ পোষ্ট দিয়েছ জেসমিন! সুন্দর ছবিসহ সুন্দর বর্ণনায় জুরিখ শহর আমারও দেখা হয়ে গেল। ভালো থেকো। চলতে থাকুক, অপেক্ষায় রইলাম। পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা তোমাকে। আজ থেকেই কি রোজা শুরু করেছ তাইনা? আমাদের জন্য দোয়া করো। আমিও কামনা করছি, পৃথিবীর সবাই যেন সুন্দরভাবে, সৎপথে থেকে আল্লাহকে স্মরণ করে নামাজ এবং রোজা কায়েম করবার তৌফিক দান করেন। আমীন।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন৩০ জুন ২০১৪, ১৮:৪১
আপনাকেও শুভেচ্ছা পবিত্র রমাজানের । আমরা আজ তৃতীয় রোজা রাখছি । দোয়া করবেন আপু 
অনেক অনেক ধন্যবাদ পোস্টটি মতামত দেওয়ার জন্য । ভাল থাকবেন ।
Maeenমাঈনউদ্দিন মইনুল৩০ জুন ২০১৪, ২০:৪২
জেসমিন আপা, এপ্রিলের ঘটনা আজকে জানালেন, মনটা একটু খারাপ হলো 

৫০০ কিলোমিটারের অটোবান অতিক্রম করে পারিবারিক গাড়িতে জুরিখ ভ্রমণের বর্ণনা ভালো লেগেছে। তবে ছবি আরও আশা করেছিলাম। শান্তির দেশের ছবিগুলো দেখলেও শান্তি পাই। 

এবারও জনসংখ্যা ঘাটতি দেখে হতাশ হলাম...  

৪/৫ কিলোমিটারের টানেল অতিক্রম করার পূর্ব পর্যন্ত অস্থির লাগে নি? লাগার কথা 


অনেক শুভেচ্ছা রইলো.... 
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন৩০ জুন ২০১৪, ২২:১৫
হে হে , এতে মন খারাপ করলে গত বছর সেপ্টেম্বর , অক্টোবরের ভ্রমণের লেখাগুলো পড়লে কি করবেন ? 

আসলে ওয়েদার এত খারাপ ছিল , খুব বেশি তোলার উৎসাহ পাইনি । কিছু ছবি পরের পর্বে দিয়েছি । দেখেছেন এর মাঝে । 

সব মানুষ তো আমাদের দেশে । তাই তো এরা হিসাব করে চলছে 

নাহ, টানেল অতিক্রম করার সময় অস্থির লাগে নাই । বরং চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে দেখছিলাম আরও কত লম্বা হয় । ভিতরে আলোর ঝলকানিও আকর্ষণের অংশ ছিল । 

আপনাকেও অনেক শুভেচ্ছা । আপনার অপেক্ষায় ছিলাম । পেয়ে খুশি হলাম 
salahuddinsiteসালাহ্ আদ-দীন০৪ জুলাই ২০১৪, ২০:২১
লেখাটা একদম একজন প্রফেশনাল লেখকের মতই হয়েছে। মন দিয়ে পড়লাম কারন আমারও যে শেখার আছে অনেক কিছু। আর হ্যা হাই ওয়ে কে এখানে আমরা বলি মটর ওয়ে। তবও নতুন নাম শেখা হল। লেখার শুরুটা খুব ভাল হয়েছে।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন০৫ জুলাই ২০১৪, ২২:৫১
ওরে কি বলে !! শরম লাগে তো । 
অনেকদিন পর এলে মনে হয় । 
তোমার লেখা দাও না কেন ? খুব তো এদিক ওদিক ঘুরছ । 
ভাল থেক
mukto75মুক্তমন৭৫০৫ জুলাই ২০১৪, ০৪:১৩
আপামনি,

চমৎকার বর্ণনাতে অসাধারন সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন ভ্রমণটি। 

বেশ ভালো লেগেছে লেখার স্টাইল। নিয়মিত আবারও লেখালেখি চলুক।

ছবিগুলো খুব ভালো হয়েছে। 

অনেকদিন পরে হলেও লেখাটি পড়া হলো।

শুভকামনা রইলো।
lnjesminলুৎফুন নাহার জেসমিন০৫ জুলাই ২০১৪, ২২:৫৫
মুক্তমন ভাই যে , কোথায় থেকে উদয় হলেন ? 
এত ব্যস্ততার মাঝেও আমার লেখাটি খুজে পড়ার জন্য কৃতজ্ঞতা 

নিয়মিত চলবে কি না জানি না । তবে লেখার ইচ্ছে আছে । 
দোয়া করবেন , ভাল থাকবেন ।

No comments:

Post a Comment